বিতর্কে পদত্যাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
আমন্ত্রণপত্র বিতর্ক জেরে ইস্তফা দিলেন মাথাভাঙা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সচিব শ্যামল সেন। সোমবার রাতে মাথাভাঙার মহকুমাশাসক তথা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ছিয়াং পালজোরের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র তুলে দেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্তফাপত্রে শ্যামলবাবু শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। সংস্থার সভাপতি তা গ্রহণ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, “ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ইস্তফাপত্রে শারীরিক সমস্যার উল্লেখ করেছেন। ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” গত সোমবার মাথাভাঙা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে স্থানীয় বাসিন্দা তথা বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন এবং বিধায়ক বিনয় বর্মনের নাম না থাকায় বিতর্ক দেখা দেয়। ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বাম মনোভাবাপন্ন কো-অর্ডিনেশন কমিটির কর্তাদের একাংশ দলবাজি করে ওই দুইজনের নাম রাখেননি বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল সমর্থকেরা। মঙ্গলবার ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে তৃণমূলের তরফে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আলিজার রহমান বলেন, “বনমন্ত্রী ও বিধায়কের নাম আমন্ত্রণপত্রে না রেখে কিছু লোকজন পরিকল্পিত ভাবে দলবাজি করেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় ইস্তফা দিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন সম্পাদক। কমিটি ভেঙে নতুনভাবে কমিটি গড়ার দাবি জানানো হয়েছে।” পদত্যাগী সচিবের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |
পুরসভার দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা সদর বুনিয়াদপুরে পুরসভা গঠনের দাবিতে সরব হল যুব কংগ্রেস। মঙ্গলবার বংশীহারি ব্লকে বুনিয়াদপুরে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান করে যুব কংগ্রেসের তরফে পুরসভা গঠন-সহ সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি অসিত রায় বলেন, “মহকুমা সদর বুনিয়াদপুরকে পুরসভার মর্যাদায় উন্নীত করার যোগ্যতা রয়েছে। ১৯৯৪ সালে গঙ্গারামপুরের মহকুমা সদর হিসাবে বুনিয়াদপুর গঠিত হলেও আজও শহর হিসাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা হয়নি।” বুনিয়াদপুরে দমকল কেন্দ্র, মহকুমা সংশোধনাগার এবং মহকুমা আদালতের ভবন তৈরির দাবি তুলে এ দিন যুব কংগ্রেস থেকে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বর্তমান বাস টার্মিনাসকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। বুনিয়াদপুরের জনসংখ্যা ৫০ হাজার। এখানে ৪টি হাই স্কুল-সহ একটি কলেজ, একটি নির্মীয়মাণ আইটিআই কলেজ রয়েছে। উন্নত রেল স্টেশনের পাশাপাশি আছে মহকুমা আদালত, ট্রেজারি-সহ প্রায় সমস্ত সরকারি দফতর। মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “বুনিয়াদপুরকে পুরসভা গঠনের জন্য প্রস্তাব জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।” তিনি জানান, পুরসভা গঠনের জন্য যে সব পরিকাঠামো দরকার, তার সবই বুনিয়াদপুরে আছে। জেলার বংশীহারি ব্লকের গোটা শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে সদর বুনিয়াদপুর গঠিত প্রায় ৩০ বর্গ কিমি আয়তন নিয়ে। লোকসংখ্যা ৪০ হাজারের উপর। কৃষির উপর নির্ভর নয় এমন ৫০ শতাংশের উপর বাসিন্দার বাস বুনিয়াদপুরে। ৩৫ হাজার জনসংখ্যা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫০ শতাংশের উপর অকৃষি জমি থাকলে পুরসভায় উন্নীত করার পথে কোনও বাধা থাকে না। |
১২০৩ শংসাপত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
একই দিনে ১ হাজার ২০৩ জনকে শংসাপত্র বিলি করে নজির গড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লক। অনলাইন পদ্ধতি চালু করে শংসাপত্র উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল মঙ্গলবার হরিরামপুর বিডিও অফিস চত্বরে। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তফসিলি জাতির ১০১ জন, উপজাতি শ্রেণির ১৬৮ জন এবং ৯৩৪ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শংসাপত্র বিলি করা হয়। উপস্থিত স্থানীয় বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, “একই দিনে বিপুল সংখ্যক শংসাপত্র বিলি করে রাজ্যে সাম্প্রতিক কালের মধ্যে হরিরামপুর ব্লক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।” বিডিও সামসুর রহমান বলেন, “অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে উপভোক্তারা জাতি শংসাপত্রের জন্য ব্লক অফিসে আবেদন করতে পারবেন। এতে বাসিন্দাদের বিডিও অফিসে ঘুরতে হবে না।” ছিলেন জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বর্মন প্রমুখ। |