কলকাতার কোচবিহার ভবনে মহারাজাদের প্রতিকৃতি বা মূর্তি না-থাকায় ক্ষুব্ধ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস আসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বংশীবদন বর্মন। কলকাতার ওই ভবনের সামনে কোচবিহারের প্রয়াত মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের মূর্তি স্থাপনের দাবি তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, ভবনের ভেতরেও মহারাজাদের প্রতিকৃতি রাখার দাবিও তুলেছেন বংশীবদনবাবু। মঙ্গলবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক বংশীবদন বর্মন কোচবিহার জেলে বন্দি ৩০ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জামিনের ব্যাপারে তদ্বির করতে কলকাতায় পৌঁছন। সে দিনই বংশীবদনবাবু তাঁর সঙ্গী গ্রেটার কোচবিহার বন্দিমুক্তি কমিটির মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন কে নিয়ে কলকাতার সল্টলেকে কোচবিহার ভবনে যান। কোচবিহার ভবনে প্রয়াত মহারাজাদের প্রতিকৃতি বা মূতির্র্ না থাকার বিষয়টি বংশীবদনবাবুর নজরে পড়ে। সল্টলেকের কোচবিহার ভবনে রাজাদের প্রতিকৃতি বা মূর্তি না থাকার ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বংশীবদনবাবু বলেন, “মহারাজার বরাদ্দে গঠিত কোচবিহার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের টাকায় কলকাতায় ওই ভবন করা হয়েছে। অথচ সেখানেই মহারাজাদের কারো প্রতিকৃতি বা মুর্তি নেই দেখে বিস্মিত হয়েছি। কোচবিহারে ফিরেই ওই ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। যাতে দ্রুত ভবনের সামনে মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের মূর্তি স্থাপন হয় সে জন্য অনুরোধ করব।” বংশীবদনবাবু পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে অনশন আন্দোলনের সময়ে এক আইপিএস সহ ৩ পুলিশ কর্মী ও ২ আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। নতুন সরকার আসার পরে সম্প্রতি বংশীবদনবাবু জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। কলকাতার সল্টলেকের কোচবিহার ভবনে মহারাজাদের প্রতিকৃতি ও মুর্তি না থাকা নিয়ে বংশীবদনের ক্ষোভের কথা শুনেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, লিখিত পেলে ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। |