নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
আগুন লেগে ছাই হয়ে গেল খোয়ারডাঙা বাজারের ২৮ টি দোকান। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের খোয়ারডাঙা বাজারে। খবর পেয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার থেকে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। পৌঁছয় কুমারগ্রাম থানার পুলিশ। বাজারে জলের কোনও উৎস না-থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় তাদের। দমকল পৌঁছন এবং প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দোরমারা নদী থেকে জল আনার ব্যবস্থা করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে দেরি হয়। ততক্ষণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর আগুন নেভানোর কাজ চালাতে হয় দমকলকে। ২৮ টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া ছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে আরও ১৫ টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের কর্তারা অনুমান করছেন। আলিপুরদুয়ার দমকল কেন্দ্রের ওসি প্রদীপ সরকার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই বাজারে আগুন লেগেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” এই ঘটনার পর বারবিশায় দমকলকেন্দ্র দ্রুত চালুর দাবি ফের জোরদার হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বারবিশায় দমকল কেন্দ্র থাকলে বেশ কিছু দোকান পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যেত। |
খোয়ারডাঙা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সজল সরকার বলেন, “বারবিশায় দমকল কেন্দ্র চালু হলে এতটা ক্ষতি হত না। এক বছর আগে কাজ শুরু হলেও দমকল কেন্দ্রের কাজ শেষ না-হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে দমকল পৌঁছনোর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ দিনের ঘটনায় প্রচুর টাকার ক্ষতি হল।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন রাত ২ টা নাগাদ বাজারে আগুন লাগে বলে তারা জানতে পেরেছেন। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়েছে। খোয়ারডাঙা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাই জানিয়েছেন, এ দিন রাত ২ টা নাগাদ আগুন লাগার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে বাজারের ব্যবসায়ী কমল দাসের। বাজারের কয়েকটি দোকানে দাউদাউ করে জ্বলছে দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলে রাতে বাজার চত্বরে এবং আশেপাশের লোকজনরা জড়ো হন। আগুন দেখে দোকানের জিনিসপত্র বাচাঁতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। বন্ধ দোকান খুলে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র বার করতে থাকেন। পুলিশ পৌঁছনোর আগে জিনিসপত্র লুঠপাটের চেষ্টাও হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আলিপুরদুয়ার দমকল কেন্দ্র থেকে ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভার কাজ শুরু করতেও দেরি হয়। ভোরের দিকে আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে আসে ততক্ষণে মুদিখানা, কাপড়, মিষ্টি, জুতোর দোকান মিলিয়ে ২৮ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। |