নিজস্ব সংবাদদাতা• শিলিগুড়ি |
বর্তমানে পুরসভা ডেপুটি মেয়র রঞ্জনশীল শর্মার বিরুদ্ধে এক সময় রাস্তার জায়গায় হকারদের বসানোর অভিযোগ উঠেছিল। এ বার তিনিই উদ্যোগী হলেন কোর্ট মোড়, মহাবীরস্থান উড়ালপুলের নিচে রাস্তা জায়গা আটকে কারবারকারী হকার, অবৈধ দোকান সরাতে। বুধবার ট্রাফিক পুলিশের কর্তাদের নিয়ে পুরসভায় এ ব্যাপারে বৈঠক করেন তিনি। এক সময় পুরসভার ৩ নম্বর বরোর তরফে কোর্ট মোড় চত্বর থেকে রাস্তার জায়গা আটকে বসে থাকা হকার এবং অবৈধ দোকন সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সময় রঞ্জনবাবুই সেই কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি হকারদের সেখানে বসে কারবার করতে সাহস দেন। এ বার তিনিই ওই হকারদের সরাতে তৎপর হয়েছেন। যানজট সমস্যা কাটাতে কোর্টমোড় চত্বর-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার জায়গা আটকে বসে থাকা হকারদের সরানো যে জরুরি তা এ বার উপলব্ধি করেন তিনিও। হকারদের সরানোর ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী বামেরা। ডেপুটি মেয়র বলেন, “রাস্তার জায়গা আটকে কারবার করার জন্য যানজট নিত্য দিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই কোর্ট মোড়, মহাবীরস্থানের উড়ালপুলের নিচে রাস্তার জায়গা আটকে কাউকে কারবার করতে দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ী, পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শুধু কোর্ট মোড় চত্বর বা মহাবীরস্থানই নয় চম্পাসারি মোড়, দার্জিলিং মোড়, সেবক রোডে ভক্তিনগর থানা লাগোয়া চেকপোস্ট মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে রাস্তার জায়গা আটকে কারবারকারীদের সরাতে উদ্যোগ গ্রহনের কথা জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দার্জিলিংমোড় এবং সেবক রোডে চেকপোস্ট মোড় লাগোয়া এলাকা থেকে রাস্তার জায়গা আটকে বসে থাকা ব্যবসায়ীদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। এ দিন ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের আইসি হেমন্ত রায়। হেমন্তবাবু জানান, শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার জায়গা আটকে অনেকেই কারবার করছেন। তাতে যান চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বাড়ছে যানজট। সে কারণেই হকারদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে একমত। পুরসভার বিরোধী দলের তরফে বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা মেটাতে পুর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হন সেটা আমরাও চাই। হকারদের সরানো হলে নিয়ম মেনে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন পুর কর্তৃপক্ষ।” |