নিজস্ব সংবাদদাতা• শিলিগুড়ি |
দার্জিলিং শহরে ফেব্রুয়ারি থেকে মে, এই চার মাসের চিরাচরিত জলসঙ্কটের সুরাহা করতে রাজ্য সরকার অচিরেই শিলিগুড়ির লাগোয়া বালাসন নদী থেকে পাম্প করে সিঞ্চল হ্রদে জল পাঠানোর কাজ শুরু করবে। মঙ্গলবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই কথা জানিয়েছেন। দার্জিলিঙ পুরসভার চেয়ারম্যান অমর সিংহ রাই এ দিন মহাকরণে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে বালাসন নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সিনচল হ্রদে জল পাঠানোর কাজ শুরু করার আর্জি জানান। তিনি মন্ত্রীকে বলেন, দার্জিলিঙের জলসঙ্কট মেটাতে বালাসন নদী থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে। তার মধ্যে বালাসন থেকে সিনচল হ্রদ পর্যন্ত পাম্পিং স্টেশনসহ পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ করেছে পুর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তাই মন্ত্রীর কাছে তাঁদের আর্জি, সিনচল হ্রদ থেকে আবার পাইপলাইন বসিয়ে দার্জিলিঙ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জল সরবরাহ করার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না-করে ফেব্রুয়ারিতেই অন্তত বালাসন থেকে সিনচল হ্রদ পর্যন্ত জল পাঠানোর অনুমতি দিক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও ওই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেবেন তাঁরা। নচেৎ, প্রতি বছর ওই চার মাসে ট্রাক ও ট্যাঙ্কারে করে বাইরে থেকে জল এনে শহরে সরবরাহ করতে দার্জিলিঙ পুরসভার প্রচুর টাকা খরচ হয়। পুরমন্ত্রী পরে বলেন, দার্জিলিঙ শহরে জল সরবরাহের জন্য জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়্যাল মিশনের আওতায় ওই প্রকল্পের রূপকার মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অধীন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তাদের হয়ে কাজটি করছে পুর দফতরের অধীন কারিগরি শাখা। এ ব্যাপারে সুব্রতবাবুর সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। অচিরেই বালাসন থেকে সিনচল পর্যন্ত পাইপলাইনে জল সরবরাহ চালু করতে কোনও অসুবিধা হবে বলে তাঁর মনে হয় না। আর সিনচল হ্রদ থেকে দার্জিলিঙ শহরে জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পাতার আগামী অর্থবর্ষেই শুরু হবে। দার্জিলিঙ পুরসভাকে কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়ার যে দাবি জানান চেয়ারম্যান, সেই সম্পর্কে পুরমন্ত্রী বলেন, কোনও শহরকে কর্পোরেশনের মর্যাদা জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি রয়েছে। তার মধ্যে জনসংখ্যার ঘনত্ব একটি। সেই মাপকাঠি দার্জিলিঙকে কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়ার পথে অন্তরায়। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পুরমন্ত্রী তাঁকে অবশ্য দার্জিলিঙ পুর এলাকায় শহরাঞ্চলের জন্য নির্দিষ্ট আবাসন প্রকল্প চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন। পুরসভার অনেক কর্মীর পদ শূন্য থাকার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। |