সাত সকালে একটি দোতলা পাকা বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বি বি দাস রোডে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও পাশের রাস্তার উপরে ইট ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুরসভা, দমকল ও পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভা আগেই বাড়িটি পরিদর্শন করে বিপজ্জনক বলে জানিয়েছিল। বাড়িটি মালিককে ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা সহায়তা করতাম। কিন্তু তাঁরা পুরসভার কথা মানেননি।” তিনি জানান, বাড়ির ওই অংশে কেউ না থাকায়, বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। বেলায় রাস্তায় লোক চলাচল শুরু হয়ে গেলে বড় বিপর্যয় হতে পারত।” |
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো এই দোতলা বাড়ির দোতলার অংশে কেউ থাকতেন না। নীচের তলার একাংশে বাড়ির মালিক সপরিবারে থাকতেন। নীচের তলার অন্য অংশে রাস্তার ধারে তিনটি দোকান ভাড়া দেওয়া ছিল। ভেঙে পড়া বাড়ির ইটে দু’টি দোকানের অনেকখানি চাপা পড়ে যায়। ভাড়াটে এক দোকানি তাপস সেন বলেন, “ভাগ্যিস সাত সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটু বেলায় হলে আমরা দোকান খুলে ফেলতাম। লোকজনও থাকত। বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।” বাড়ির মালিক অনিলকুমার দাসের দাবি, “পুরসভার কর্মীরা বাড়িটি পরিদর্শন করলেও, ভাঙার জন্য কোনও নির্দেশিকা পাঠায়নি।” স্থানীয়দের ক্ষোভ, বাড়ি মালিক ও পুরসভার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে তারা দায় এড়াতে পারতেন না। |