শুধু ছাত্র সংসদের নির্বাচনই নয়, সরস্বতী পুজো ঘিরেও যে কলেজ রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, গত শনিবারই উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের একটি কলেজে তার প্রমাণ মিলেছিল। মঙ্গলবার ফের একই ঘটনা ঘটল ওই একই জেলারই হাবরার শ্রীচৈতন্য কলেজে। সরস্বতী পুজো পরিচালনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের তৈরি কমিটিতে তাঁদের সংগঠনের কয়েকজন প্রতিনিধি রাখার দাবিতে অধ্যক্ষ-সহ ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে প্রায় তিন ঘণ্টা ঘেরাও করেন ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। বিকেল তিনটে নাগাদ ঘেরাও শুরু হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যাঁরা ঘেরাও করেছিলেন তাঁদের মধ্যে বহিরাগতেরাও ছিলেন।
অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডল বলেন, “কথায় কথায় অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ঘেরাও করাটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ছাত্র সংগঠনের কোনও দাবি থাকলে তা প্রথমে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু ছাত্র পরিষদের তরফে এ দিনই দাবি জানানো হল। আর এ দিনই ঘেরাও করা হল। এটা একেবারেই কাম্য নয়।”
কলেজ সূত্রে খবর, বর্তমানে কলেজে ছাত্র সংসদে কোনও ছাত্র সংগঠন ক্ষমতায় নেই। গত ২০ জানুয়ারি অধ্যক্ষ সরস্বতী পুজোর কমিটি নিয়ে বৈঠক ডাকেন। সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদের মধ্যে বিবাদে ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে ১১ জনের কমিটি তৈরি হয়।
ছাত্র পরিষদের ওই কলেজ ইউনিটের সভাপতি অরিজিৎ সাঁতরা বলেন, “কমিটি গঠনের দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে আমাদের সদস্যদের গণ্ডগোল হয়। অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, যাতে আর গণ্ডগোল না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে। পুজো কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিদের রাখতে হবে।” তিনি জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন, আজ, বুধবার কমিটির ১১ জন সদস্যের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের ৬ জন সদস্য আলোচনায় বসে পুজোর কিছু দায়িত্ব ভাগ করে নেবেন। তার পরেই ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। |