কংগ্রেস পরিচালিত শান্তিপুর পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুর ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাংশ। তবে বিক্ষোভকারীদের তৃমমূল বলে মানতে চাননি শহর তৃণমূলের সভাপতি রাধিকারঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওরা ‘স্বঘোষিত তৃণমূল। ওই কর্মসূচিতে দলের কোনও অনুমোদন নেই। দলের কোনও পদে তারা নেই, এমনকী দলীয় সদস্যও নন।” তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ওই বিক্ষোভকারীদের ‘তৃণমূল’ বলে স্বীকৃতি দিয়ে দলের কোন্দলকে প্রকাশ্য এনে ফেলেছেন। উজ্জ্বলবাবু বলেন, “অন্যায় দেখলে দলের পতাকা নিয়ে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। তাছাড়া মৃণাল মৈত্র দলের জেলা সম্পাদক।” পুরপ্রধান অজয় দে অবশ্য বলেন, “বিভিন্ন দলের পতাকা নিয়ে অনেকেই ব্যবসা করে। ফলে কে কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না।” জোটপন্থী বলে পরিচিত অজয় দের সঙ্গে শান্তিপুরের স্থ্ানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পর্ক তেমন ‘মধুর’ নয়। পুরসভা ভোটে জোট হয়নি মূলত তাদেরই বিরোধীতায়। পুরসভার সামনে যারা অবস্থান ও বিক্ষোভ দেখালেন তাদের মধ্যে অন্যতম মৃণাল মৈত্র। নিজেকে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, “পুরপ্রধানের নেতৃত্বে পুরসভায় নানারকম দুর্নীতি হচ্ছে। বহু কর্মী দিনের পর দিন অফিসে না এসে মাইনে নেন। জল প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।”
|
বছক পাঁচেক আগে ছোটদের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে ডোমকলে তৈরি পার্ক রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। পার্কের ভেতরে গরু-ছাগলের উৎপাতে যাতায়াত বন্ধ। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সিমেন্টের তৈরি ডাইনোসর, হাতি, হরিণ। দোলনা থেকে লোহার তৈরি খেলনা চুরি গিয়েছে অনেক আগেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের উদাসিনতায় নষ্ট হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল বারির নামে তৈরি এলাকার ওই শিশু পার্ক। আজিমগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান সুজাতা মণ্ডল বলেন, “আমি সেই সময়ে প্রধানের দায়িত্বে ছিলাম না। তাই বিষয়টি জানা নেই। তবে ওই পার্কের দায়িত্ব কোনও সংস্থা নিলে আমরা সহযোগীতা করবো।” এলাকার বিধায়ক আনিসুর রহমান বলেন, “দামি খেলনা, আলো, গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছিল পার্কটি। দেওয়ালে আঁকা হয়েছিল দামি পেন্টের বিভিন্ন শিক্ষামুলক ছবি। পঞ্চায়েত ও একটি ক্লাবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কেউ সেই দায়িত্ব পালন করেননি।”
|
শুরু হল দশ দিনের শিমুরালি উৎসব। সোমবার চাকদহের শিমুরালি সংস্কৃতি সঙঘ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রানাঘাটের সাংসদ সুচারুরঞ্জন হালদার। ছিলেন বিধায়ক নরেশচন্দ্র চাকি, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, নীলিমা নাগ, উৎসব কমিটির সভাপতি বাদল রায় মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টরা। কৃতী ছাত্রদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। নরেশবাবু বলেন, “রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতরের তরফে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ৬ টি ক্লাবকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আমি সংস্কৃতি সঙঘকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আবেদন জানাব।” |