আবারও একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাড়ি খেয়ে। রানাঘাটের রাবনবোর গ্রামে এ নিয়ে ৫ জন অসুস্থ হলেন। তাঁদের প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামে দু’টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বেআইনি মদ বিক্রি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে একটি চায়ের দোকানে ভাঙচুর করে আগুনও লাগানো হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই বাড়ি ও দোকানের মালিক এলাকা ছাড়া।
মঙ্গলবার অসুস্থদের বাড়িতে গিয়েছিলেন রানাঘাট-১ ব্লকের বিডিও দিব্যেন্দুশেখর দাস এবং এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিদ্যুৎ গায়েন। বিদ্যুৎবাবু বলেন, “ওই এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাবনবোর গ্রামে তাড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্থানীয় রাম হালদার, বাবু রাজবংশী, বাপ্পা হালদার, বিশ্বজিৎ রাজবংশী এবং মদন রাজবংশী। রানাঘাট হাসপাতালের সুপার বলেন, “তাড়ি খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওদের একজন রক্তবমি, দু’জন খিঁচুনি নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁদের কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশ আসায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কগ্রেসের অনিতা ঘোষ (হালদার) বলেন, “ওই গ্রামের অধিকাংশই দিনমজুর। কোনও রকমে তাঁদের সংসার চলে। তাঁদের বেশ কয়েকজন সুযোগ পেলেই নেশা করেন। ওই দিনও তাই হয়েছিল। প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।” |