|
|
|
|
নন্দীগ্রাম-কাণ্ড |
দু’জনের সাক্ষ্য, চাকরি-সঙ্কটে সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও কাঁথি |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে আর কয়েক দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে চলেছে সিআইডি। তার আগে তদন্তের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে সোমবারই নন্দীগ্রাম-খেজুরি ঘুরে গিয়েছেন সিআইডি-র ডিজি ভি ভি থাম্বি। আর মঙ্গলবার ফের এই মামলার সূত্রে গাংড়ার তৃণমূল কর্মী তাপস খাটুয়া ও কেশবপুরের বাসিন্দা, তৃণমূল পরিচালিত নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ স্বদেশরঞ্জন দাস হলদিয়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবিত্রকুমার সেনের কাছে গোপন সাক্ষ্য দিলেন। তাপসবাবু ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের হামলায় আহত হয়েছিলেন এবং স্বদেশবাবু প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি সিআইডি-র। সে কারণেই তাঁদের এ দিন হলদিয়া আদালতে নিয়ে আসে সিআইডি।
এ দিকে, এই মামলার অভিযোগে নাম জড়িয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি হারাতে চলেছেন খেজুরির এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা বিজন রায়। সিআইডি তাঁর খোঁজখবর শুরু করতেই মাস কয়েক ধরে বিজনবাবু আত্মগোপন করেছেন। এমনকী তমলুকে সদ্য-অনুষ্ঠিত সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনেও হাজির হননি। চাকরিস্থল হলদিয়ার ব্রজলালচক স্টেটপ্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়েও তিনি আসছেন না রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই। দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্য এর আগে তাঁকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছিল। তারও জবাব না মেলায় বিজনবাবুকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপালচন্দ্র সাহু। বিজনবাবুর বেতন আগেই বন্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার গোপালবাবু জানান, “কোনও কারণ না দর্শিয়ে স্কুলে দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্য বিজনবাবুকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত লিখিত নির্দেশ জারি হবে।” |
|
|
|
|
|