|
|
|
|
ছোট আঙারিয়া মামলা |
অবশেষে শুরু হল চার্জগঠনের শুনানি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুরু হল দ্বিতীয় দফায় ছোট আঙারিয়া মামলার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানি। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে এই শুনানি শুরু হয়। প্রথমে সওয়াল করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ। পরে সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু। এ দিন সওয়াল শেষ হয়নি। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।
২০০১-এর ৪ জানুয়ারি গড়বেতার ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে সিপিএমের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুলি-চালনা, অগ্নি-সংযোগ-বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কয়েক জন মারাও যান বলে তৃণমূল শিবিরের দাবি। যদিও কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। এই মামলার তদন্ত করে সিবিআই। সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু বেশির ভাগ সাক্ষীই ‘বিরূপ’ হওয়ায় মামলা এক দফা ভেস্তে যায়। খালাস পেয়ে যান তপন-সুকুররা। দশ বছর ধরেই অবশ্য ‘ফেরার’ থেকে গিয়েছিলেন আরও কয়েক জন অভিযুক্ত। তাঁদেরই অন্যতম সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদ। গত বছর বিধানসভা ভোটে রাজ্যে পালাবদলের পরেই ধরা পড়েন দিল। প্রথমে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় তাঁকে ধরে জেলা পুলিশ। পরে সিবিআই ছোট আঙারিয়া মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। ‘পরিবর্তিত’ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে সিবিআইয়ের কাছে বয়ান দেন বক্তার ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জন। জেলবন্দি দিলের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। মামলা সিজেএম আদালত থেকে জেলাজজের এজলাস ঘুরে বিচারের জন্য পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের এজলাসে পাঠানো হয়।
কিন্তু চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানি শুরু হতেই অনেক সময় কেটে যায়। দিলের অসুস্থতার কারণে দু’-দু’বার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে যায়। মঙ্গলবার অবশ্য তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। শুরুতে সওয়াল করতে গিয়ে এই মামলায় ৩০২ ধারায় চার্জগঠনের বিরোধিতা করেন অভিযুক্তের আইনজীবী বিশ্বনাথবাবু। তাঁর বক্তব্য, “কোনও মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। খুনের প্রমাণও নেই। তা হলে ৩০২ ধারা থাকবে কেন? সেই সময়ে ওখানে (ছোট আঙারিয়ায়) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।” পাল্টা সওয়াল করতে গিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপসবাবু বলেন, “খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছে। মাটির উপরে পড়ে থাকা রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্টও আছে।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ওই দিন শুরুতে ফের সওয়াল করবে অভিযুক্তপক্ষ। শুনানি শেষে চার্জগঠন হবে। |
|
|
|
|
|