সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, বুধবার শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছবেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের যুব ফুটবল উন্নয়ন প্রকল্পের ডিরেক্টর কলিন টোল। বি সি রায় ট্রফির মূলপর্বের খেলাগুলি থেকে জুনিয়র জাতীয় ফুটবল দলের জন্য প্রতিভা বাছতেই তিনি শিলিগুড়িতে আসছেন। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি পৌঁছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে যাবেন তিনি। তাতে বাড়তি উৎসাহ পাবে মূলপর্বে থাকা ৪ টি দলের ফুটবলাররাও। কলিন টোলের সামনে ভাল খেলা দেখাতে পারলে জাতীয় জুনিয়র দলে সুযোগ পাওয়ার দরজা তাদের অনেকের কাছেই খুলে যেতে পারে। এআইএফএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামছেন কলিন টোল। বব হাউটনের উদ্যোগেই বছর তিনেক আগে এ দেশে এসেছেন এই ব্রিটিশ কোচ। সেই থেকে তাঁর প্রচেষ্টা দেশের জুনিয়র ফুটবলের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বব হাউটনের আমলে যাঁরা এ দেশে এসেছেন তাঁদের অধিকাংশকে নিয়েই নানা সময়ে সমালোচনা হয়েছে। কলিন টোলই সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব যাঁকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও বিতর্কের অবকাশ মেলেনি। ২৫, ২৭ এবং ২৯ জানুয়ারি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বি সি রায় ট্রফি জুনিয়র জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার মূলপর্বের খেলা হচ্ছে। সেখান থেকে জুনিয়র ফুটবলার বাছতেই আসছেন কলিন টোল। গ্রুপ লিগের খেলা থেকে বাংলা, ঝাড়খণ্ড, মিজরাম এবং কর্ণাটক ৪ টি দল মূলপর্ব রাউন্ড রবিন লিগে উঠেছে। বুধবার প্রথম খেলায় ঝাড়খণ্ড মুখোমুখি হচ্ছে মিজরামের। বিকেলে সওয়া ২টা থেকে বাংলা-কর্ণাটক ম্যাচ। আগের ম্যাচে বাংলার ফুটবলার রাজীব ঘড়ুই লাল কার্ড দেখায় বুধবার তিনি খেলতে পারবেন না। এ দিন বিকালে বাংলা দলকে নিয়ে টানা দু ঘন্টা অনুশীলন করান কোচ প্রশান্ত চক্রবর্তী। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে তিনি কিছুটা বিব্রত হলেও আপাতত দলের ফুটবলারদের নিয়ে মুলপর্বের খেলার দিকেই মন সংযোগ করতে চান। গত ২২ জানুয়ারি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বাংলা-মেঘালয় ম্যাচে রাজীব ঘড়ুই লালকার্ড দেখার পর মাঠে ঢুকে রেফারিকে অশ্রাব্য গালিগালিজ করার অভিযোগ ওঠে বাংলার কোচের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সে সময় শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা তাঁকে বোঝাতে গেলে তাঁদের সঙ্গেও অশোভন আচারণ করেন সামান্য একটা জার্সির ব্যাপার নিয়ে। এর পরেই ম্যাচ কমিশনার বাংলার কোচকে সতর্ক করেন। এবং ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেন। তা নিয়ে বিব্রত বোধ করেন কোচ প্রশান্তবাবুও। যদিও পরে তিনি নিজে ঘটনার জন্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। মূলপর্বে বাংলার খেলায় এ সব যাতে প্রভাব না ফেলে তা নিয়েই চিন্তিত বাংলা দলের কর্মকর্তারাও। |