নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরপর দুই ম্যাচ হেরে মোহনবাগান মন দিয়েছে সভায়।
প্রয়াগ ম্যাচ হারার পরদিন ছিল ফুটবলারদের নিয়ে কোচ-টিডির মিটিং। কলকাতা লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগের দিন ফের সভা। এ বার তাতে অংশ নিলেন ক্লাবের বড় কর্তারা। সবার সঙ্গে চলে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট টুটু বসুও। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে তাঁরা দীর্ঘ আলোচনা সারলেন কোচ-টিডির সঙ্গে।
এই মিটিং থেকে বেরিয়েও কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টিডি সুব্রত ভট্টচার্য বেরিয়ে গেলেন মুখে কুলুপ লাগিয়ে। বড় কর্তারা জানালেন, দু’টি পরপর হারের জন্যই এই আলোচনা। এ রকম হয়েই থাকে। বিশেষ কোনও কারণ নেই। তাঁদের বক্তব্য, “কোথায় অসুবিধা হয়েছে, কেন হঠাৎ হার মানতে হল, এই ছিল আলোচনার বিষয়।” সভা শেষে প্রধান দোষী সাব্যস্ত হয়েছে টিমের চোট! কর্তাদের কথায়, “বেশির ভাগ প্রথম সারির ফুটবলারকেই যে-কারণে মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে। হারের প্রধান কারণ সেটাই।”
তার আগে অবশ্য ব্যারেটো-সুনীলরা পুরোদমে অনুশীলন সারলেন। তবে সুনীল বুধবার সাব্বির আলির সাদার্ন সমিতির বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না। কোচের আশা, পরের আই লিগ ম্যাচেই মাঠে নামবেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার। আর ব্যারেটো বিশ্রাম চেয়েছেন বুধবারের ম্যাচে। ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের যুক্তি, “সমর্থকরা আমার থেকে অনেক কিছু চাইছে। আধা-ফিট হয়ে নামলে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। বরং বিশ্রাম নিয়ে আই লিগের ম্যাচে খেলব।” ওডাফাও বিশ্রাম চেয়েছেন। কিন্তু প্রশান্ত বলছিলেন, “দরকারে ওকে সাদার্ন ম্যাচে নামানো হতে পারে।” সে ক্ষেত্রে ফরোয়ার্ড হিসাবে অসীম বিশ্বাস শুরু করতে পারেন জাগতার সিংহের সঙ্গে। এ দিন থেকে অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের মাঠের ভিতরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। গ্যালারিতে বসতে অবশ্য সমস্যা নেই।
বুধবারের ম্যাচে মাঝমাঠে জুয়েল রাজা ও রাকেশ মাসি ফিরে আসছেন। হাদসন লিমা খেলতে পারেন লেফট হাফে। ডান প্রান্তে অনূর্ধ্ব উনিশ মনীশ ভার্গবের জায়গা অবশ্য পাকা। প্র্যাক্টিসে এন পি প্রদীপকে রাইট ব্যাকে এবং দলজিৎকে লেফট ব্যাকে খেলালেও কোচ এখনই জানাচ্ছেন না কী হবে। সাদার্ন ম্যাচের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরই আই লিগে পৈলানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। তা সত্ত্বেও মোহনবাগান থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক খুব বেশি রদবদল ঘরোয়া লিগের টিমে চাইছে না। কারণ, কলকাতা লিগের আশা এখনও মিলিয়ে যায়নি। যে কথা বললেন কোচ এবং অধিনায়ক ব্যারেটো-ও।
|
বুধবারে কলকাতা লিগ
মোহনবাগান : সাদার্ন সমিতি (যুবভারতী, ২-০০) |