গুলির অভাবে প্র্যাক্টিস থমকে জাতীয় সেরা শুটারের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একটা গুলির দাম পড়ে ২৪ টাকা। প্র্যাক্টিসের জন্য দিনে চাই ১০০ গুলি। অত টাকাও নেই। গুলিও নেই। বাংলার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শুটার পঙ্কজ পোদ্দারের এগোন আটকে যাচ্ছে গুলির অভাবে। অভিনব বিন্দ্রা, রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, গগন নারাংরা এক ডাকে চেনেন তাঁকে। মাস দুয়েক আগে পুণেতে জাতীয় শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সোনা জিতে এলেন। তাতে কী, প্র্যাক্টিস করতে হিমসিম শেওড়াফুলির চারাবাগানের ছেলেটি। মঙ্গলবার পঙ্কজ বলছিলেন, “শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবে প্র্যাক্টিস করতে গেছিলাম আজ। কুড়িটার বেশি গুলি ছুড়তে পারলাম না। টিপে টিপে খরচ করতে হচ্ছে।” |
দিল্লিতে পরের মাসেই আর একটা জাতীয় মিট। তার আগে প্র্যাক্টিস করতে হচ্ছে কম গুলি নিয়ে। গুলি কম বলে সব দিন প্র্যাক্টিস করতে পারছেন না। মাঝেমাঝেই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। “একটা স্পনসর হলে হয়তো বেশি গুলি পেতাম। প্র্যাক্টিসও ভাল হত। কিন্তু স্পনসরও তো পাচ্ছি না।” বাংলার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দোরে দোরে ঘুরছেন নামী সংস্থার। জাতীয় সেরারই যখন এই অবস্থা, তখন অন্য শুটারদের অবস্থা কী অকল্পনীয়, তা বোঝাই যাচ্ছে। রাজ্যের ক্রীড়াকাঠামো তলানিতে। ফুটবল বা ক্রিকেট ছাড়া পরিচিত মুখ নেই। বাংলা থেকে সিনিয়র পর্যায়ে জাতীয় সেরা নেই বললেই হয়। পঙ্কজ আছেন। তিনিই হতাশায় ভুগছেন।
|
আম্পায়ারিং-বিতর্ক থামছে না
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্থানীয় ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে ফের বিতর্ক বেধে গেল। মঙ্গলবারের ঘটনাটি ঘটে স্পোর্টিং ইউনিয়ন বনাম পোর্ট ট্রাস্ট ম্যাচে। দুই আম্পায়ার বিপ্লব বসু এবং সুবিমল মজুমদারের বিরুদ্ধে স্পোর্টিংয়ের অভিযোগ, প্রথমে বল করার সময় তাদের পক্ষে পাঁচটা আউট দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে চারটে এলবিডব্লিউ এবং একটি ক্যাচের আবেদন ছিল। ব্যাট করার সময়ও তাদের এক ব্যাটসম্যানকে ভুল লেগ-বিফোর দেওয়া হয় বলে দাবি স্পোর্টিংয়ের। পোর্ট ট্রাস্টের ২৩৪-৯-এর জবাবে প্রথম দিনের শেষে স্পোর্টিং ৯-২। আম্পায়ারদের পক্ষ থেকে আবার বলা হচ্ছে, তাঁরা আউট না দেওয়া সত্ত্বেও স্পোর্টিং ক্রিকেটাররা বারবার আবেদন করে যাচ্ছিলেন। আম্পায়ার বিপ্লব বসু বলছিলেন, “যেটা আউট নয়, সেটা কী ভাবে আউট দেব?” শুধু তীব্র ঝামেলাই নয়, স্পোর্টিং ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের দিকে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠছে। দু’দিনের ম্যাচ বুধবার শেষ হলে সিএবি-তে আম্পায়াররা রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবারের অন্য ম্যাচে মহমেডান-কে এক দিনেই হারিয়ে দিল মোহনবাগান। মাত্র ১৪ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন মোহনবাগানের সৌরভ শিল। মহমেডান ৮৫ অল আউট হয়ে যাওয়ার পর ১১.৪ ওভারে ৮৬-৪ তুলে দেয় মোহনবাগান। অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা ৪৪ বলে ৬৪। এ দিকে, অলোক শর্মার ডাবল সেঞ্চুরির (১৭৮ বলে ২৬৯) উপর ভর করে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে ৫১৬ তুলল শ্যামবাজার। ৬ উইকেট নিয়েছেন টালিগঞ্জের রোহিত এলাহি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ২৭৬-৯ তুলেছে ওয়াড়ি। দক্ষিণ কলিকাতা সংসদের বিরুদ্ধে ৩২৯ অল আউট এরিয়ান। ছ’উইকেট নিয়েছেন প্রতীক মজুমদার। কালীঘাটের বিরুদ্ধে ২৬২ অল আউট বালিগঞ্জ ইউনাইটেড।
|
শিশিরের শিকার এ বার মহমেডান
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে গেল অলোক মুখোপাধ্যায়ের দৌড়। শিশির ঘোষের দলের সঙ্গে মঙ্গলবার গোলশূন্য ড্র করে আবার কলকাতা লিগ খেতাব থেকে অনেকটা সরে গেল মহমেডান। শিশির-রা এর আগে মোহনবাগানকে হারিয়েছিলেন। আমাদের অনেক প্লেয়ার বাইরে ট্রায়াল দিতে গেছে। নইলে এ ম্যাচও জিততাম।” বললেন শিশির। পুলিশকে টপকাতে পারলেই মোহনবাগানকে (৭ ম্যাচে ১৪) চাপে ফেলতে পারতেন অলোক। কমে আসত ইস্টবেঙ্গলের (৮ ম্যাচে ১৮) সঙ্গে পয়েন্টের পার্থক্যও। সেখানে ৮ ম্যাচে এখন ১৫ পয়েন্টে মহমেডান। প্রয়াগ ইউনাইটেড ও ইস্টবেঙ্গলকে হারালে তাদের সম্ভাবনা একটু থাকবে। যদিও গোলপার্থক্যে মহমেডান পিছিয়ে বলে তাদের সম্ভাবনা কম। এ দিকে, পিয়ারলেসের সঙ্গে ১-১ ড্র করল প্রয়াগ। জোসিমারের পেনাল্টি থেকে তারা ড্র করে।
মহমেডানের ব্যর্থতায় স্ট্রাইকারদের ভূমিকা যদি এক নম্বরে থাকে, তা হলে দ্বিতীয় স্থানটা অবশ্যই দখলে রাখবেন পুলিশের গোলকিপার জয় ধর। তিন-চারটে নিশ্চিত গোল বাঁচালেন। ম্যাচের পরে মহমেডান কোচের গলাতেও জয়-বন্দনা। আক্ষেপ করে গেলেন, “ওদের গোলকিপারটা ভাল খেলে দিল।”
|
দিনরাতের ক্রিকেট
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বালিচক নবারুণ সঙ্ঘের উদ্যোগে দু’-দিনের দিবারাত্রি ক্রিকেট খেলা শেষ হল সোমবার। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি রাঁচি, জামশেদপুর থেকেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বঙ্গশ্রী অ্যাথলেটিক ক্লাব। রানার্স হয়েছে ডেবরা একাদশ। বিজয়ী দলকে ২০ হাজার টাকা ও রানার্সকে ১৫ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার ও ট্রফি দেওয়া হয়। রবিবার খেলার উদ্বোধন করেছিলেন ডেবরার বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি। ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ-তহবিলে ৫ হাজার টাকাও তুলে দেন। পুরস্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য ও ডেবরা থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু হোতা। |
এএফসি চ্যালেঞ্জে অনিশ্চিত জেজে
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আই লিগে পুণে এফসির হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার জেজে লালপেখলুয়া। আর তাই নেপালে আসন্ন এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন তিনি। শেষ ম্যাচে বাঁ পায়ের হাঁটুতে চোট পান। ডাক্তার অনন্ত যোশী জেজের জানান, ছ’সপ্তাহের আগে জেজে মাঠে ফিরতে পারবেন না। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের প্রথম ম্যাচ ৯ মার্চ তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে। জেজে হয়তো ওই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তাঁর মতোই পুণে এফসির গোলকিপার সুব্রত পালও চোটের জন্য এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে অনিশ্চিত।
|
আঁটপুর আবোল তাবোল ক্লাবের পরিচালনায় একদিনের ফুটবল বৃহস্পতিবার। আঁটপুর স্কুল মাঠে। |