শেষ পর্যন্ত ১৪ বছরের শান্তি আলোচনার পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, নাগাল্যান্ডে কী ফিরে আসতে চলেছে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস? ১৯৯৭ সাল থেকে ভারত সরকার ও এনএসসিএন (আইএম) জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। কিন্তু দলের দুই নেতাকে নাগাল্যান্ডেরই জুনেবটো এলাকায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে তাতে শান্তি প্রক্রিয়া ধাক্কা খেয়েছে। এ বার খোদ দলের প্রচারমন্ত্রী এ জেড জামি মেল পাঠিয়ে জানিয়েছেন, সব নাগাকে একজোট হয়ে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে হবে।
এনএসসিএন (আইএম)-এর হয়ে জামি, ‘গভর্মেন্ট অফ পিপল্স রিপাবলিক অফ নাগালিম’-এর লেটারহেডে যে বিবৃতি পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে: ভারতবর্ষ আর মহাত্মা গাঁধী বা নেতাজির স্বপ্নের ভারত নেই। মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক নেতা ও আমলার স্বেচ্ছাচারিতার আড়তে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে আমরাও বিশ্বাস করেছিলাম লড়াই নয়, নাগা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। আলোচনার স্বার্থে আমরা সার্বভৌমত্বের দাবি থেকেও সরে আসি। কিন্তু এতদিনে সাফ হয়ে গিয়েছে, আমাদের ঠকানো হয়েছে।
এনএসসিএন (আইএম)-এর দাবি, নাগাদের অসমীয় ও মণিপুরিদের দয়ায় ফেলে রাখা হয়েছে। উল্টোদিকে, ভারত সরকার নাগাদের জমি জবরদখল করছে। ১৪ বছর ধরে শান্তি আলোচনা চালানো এক অবাস্তব প্রক্রিয়া। আর ধৈর্য রাখা সম্ভব নয়। তার উপরে ২০১০ সালে সাধারণ সম্পাদক থুইংলেং মুইভাকে জন্মভূমি সোমদাল এবং চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চেয়ারম্যান আইজ্যাক চিসি সু-কে জন্মভূমি জুনেবটোতে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। আইএম রক্তপাত চায়নি বলে, দুটি ক্ষেত্রেই সংযত থেকে সরে এসেছিল। কিন্তু এরপর রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শুরু হলে ভারত সরকারই তার জন্য দায়ি হবে।
তবে আইএম সকলকে একজোট হতে বললেও, এনএসসিএন খাপলাং ও খুলে-কিতোভি গোষ্ঠীর লড়াই কিন্তু থামছে না। পুলিশ জানায়, খুলে-কিতোভি বাহিনীর এক সদস্যকে গুলি করে খাপলাংরা। এর প্রতিশোধ নিতে, কোহিমার লোয়ার এগ্রি-ফরেস্ট কলোনি এলাকায় খাপলাং গোষ্ঠীর কেভিখু ও তাঁর ছেলের গাড়ি লক্ষ্য করে খুলে-কিতোভি বাহিনীর জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। |