ধর্ষিতাকে বিয়ে করে ধর্ষণকারী রাজু দাসকে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি নন বলে আদালতে জানিয়ে দিলেন রাজু। ইতিমধ্যেই তাঁর বছর ছয়েক জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। আদালত জানিয়েছিল, রাজু যদি ধর্ষিতাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেন, তা হলে তাঁর বাকি শাস্তি মকুব করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। কিন্তু মেয়েটি আবার টাকা নিতে নারাজ।
আদালত ভেবেছিল, রাজুর দেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কের মেয়াদি আমানতে জমা রাখলে ওই মেয়েটি মাসে প্রায় ছ’হাজার টাকা সুদ পাবেন। তাতে সন্তান এবং তাঁর ন্যূনতম গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা হতে পারবে। কিন্তু মেয়েটি বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে জানান, রাজুর কাছ থেকে তিনি আদৌ কোনও টাকা নিতে চান না। তিনি চান সামাজিক মর্যাদা। তিনি চান তাঁর সন্তানের পিতৃপরিচয়। এবং তার পথ একটাই। রাজু তাঁকে বিয়ে করুন। বিয়ে করলে তিনি সামাজিক মর্যাদা ফিরে পাবেন। তাঁর সন্তানও পিতৃপরিচয় পাবে।
মেয়েটি টাকা নিতে রাজি না-হওয়ায় মঙ্গলবার মামলাটি ফের ওঠে হাইকোর্টে। শুনানির সময় রাজুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁর মক্কেল আদালতের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। আদালত রাজুর বকেয়া কারাদণ্ড মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু রাজু ধর্ষিতাকে বিয়ের শর্তে রাজি না-হওয়ায় এবং মেয়েটিও রাজুর টাকা নিতে না-চাওয়ায় এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়ে যায়। ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে। তবে আদালত মিটমাটের চেষ্টা ছেড়ে দিচ্ছে না। বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত এ দিনও আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়কে বলেন, রাজু এবং ওই ধর্ষিতার বিয়ের ব্যাপারে তিনি যেন ফের সচেষ্ট হন। |