পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় দু’দিন ধরে জল পাচ্ছে না বরাহনগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সোমবার থেকেই এই হাল চলছে বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভাকে বিষয়টি জানানোর প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। যদিও বরাহনগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক মঙ্গলবার বলেন, “বরাহনগর-কামারহাটি জল শোধনাগার থেকে জল সরবরাহের একটি পাইপ ভেঙে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। শোধনাগারের কাছে আর এন টেগোর রোডে ওই পাইপটির দেখভাল করে কেএমডিএ। তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
কেএমডিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার অরুণ চক্রবর্তী (জল সরবরাহ) এ দিন বলেন, “পাইপ সারানোর কাজ চলছে। আজ রাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।” পাইপ ভাঙার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে কেএমডিএ-র এক পদস্থ অফিসারের বক্তব্য, “বহু পুরনো পাইপ। পাল্টানো দরকার।” পাশাপাশি ওই রাস্তার উপরে মালবাহী গাড়ি চলাচল বেড়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে বলেও মনে করে কেএমডিএ। বিটি রোডের যানজট এড়াতে এখন অধিকাংশ গাড়িই আর এন টেগোর রোড ধরে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ধারণা, হঠাৎ এত সংখ্যক গাড়ি চলাচলের ফলেই পাইপ ফেটেছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বরাহনগর-কামারহাটি শোধনাগার থেকে বরাহনগর পুরসভার ১ থেকে ১৩ এবং ২৬ থেকে ৩৪ মোট ২২টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ হয়ে থাকে। রবিবার রাতেই আর এন টেগোর রোডের পাইপটি ভেঙে যায়। ওই সরবরাহ কেন্দ্র থেকে জল গাড়িতে করে পুর-এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। অপর্ণাদেবী বলেন, “পাইপ ফেটে যাওয়ায় গাড়ি করে জল সরবরাহের কাজেও কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। টালা থেকে জল নিয়ে গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল কম।” ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুপম দাস বলেন, “রান্না-স্নানের জল ছেড়েই দিলাম, পানীয় জলটুকু পাওয়ার জন্যও ছোটাছুটি করতে হয়েছে।” এলাকার একাধিক বাসিন্দার বক্তব্য, কেন জল মিলছে না, তা জানা না থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে।
ওই শোধনাগার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেএমডিএ-র। দায়িত্বপ্রাপ্ত এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর রায় এ দিন বলেন, “সোমবার সকালে খবর পেয়েছি। তার পর থেকেই পাইপ মেরামতির কাজে নেমেছে কেএমডিএ-র কর্মীরা। রাত ১২টার মধ্যে পাইপ সারাই হয়ে যাবে। বুধবার সকালেই জল পাবেন এলাকাবাসীরা।”
|