সব কিছু ঠিকঠাক চললে মার্চ মাস থেকে ফের নিলাম শুরু হতে পারে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। গত ২০০৫ সালে নিলাম কেন্দ্রটি উদ্বোধন হয়। প্রথম থেকেই পাতা সরবরাহের অভাবে ধুঁকতে শুরু করে কেন্দ্রটি। পাতার অভাবে তিন বছর আগে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে পুরোপুরি নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিশ্রুতির পরেও নিলাম কেন্দ্র চালু করা সম্ভব হয়নি। এবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বটলিফ কারখানার হাত ধরে নিলাম কেন্দ্র ঘিরে আশার আলো দেখা গিয়েছে। বটলিফ কারখানাগুলির সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি চা পর্ষদকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গের ৯৫টি বটলিফ কারখানা থেকে চা পাতা নিলাম কেন্দ্রে তাঁরা পাঠাতে রাজি আছেন। ওই বটলিফ কারখানাগুলির গড় বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিয়ন কেজি চা পাতা। এই পরিমাণের সিকিভাগও নিলাম কেন্দ্রে পৌঁছালে বন্ধ কেন্দ্রটির নতুন করে চালু করা যাবে। নিলাম কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী আধিকারিক কমল ভট্টাচার্য বলেন, “বৈদ্যুতিন নিলামের পরিকাঠামোও রয়েছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। পাতা সরবারহ না থাকাতেই নিলাম বন্ধ হয়ে রয়েছে। বটলিফ সংগঠনের প্রস্তাব কার্যকরী হলে কেন্দ্রটি ঘুরে দাঁড়াবে।” ফেব্রুয়ারি মাসে মাসে চা পর্ষদের বোর্ড মিটিং হবে। সেখানে প্রস্তাব পাশ হলে কেন্দ্রটি মার্চ থেকে কাজ শুরু করতে পারবে। বটলিফ কারখানাগুলির সংগঠন নর্থ বেঙ্গল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটি বলেন, “উত্তরবঙ্গে ৯৫টি বটলিফ কারখানা রয়েছে। আরও কারখানা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্রে চা পাতা পাঠিয়ে নিলাম করাতে পারলে আমাদের আর্থিক লাভ রয়েছে। কেন্দ্রটিও খুলবে।” তিনি জানান, যে সমস্ত ছোট ও মাঝারি চা বাগানের নিজস্ব কারখানা নেই তাঁরাও লাভবান হবেন। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে চা পর্ষদের অন্যতম সদস্য তথা কংগ্রেসের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এটা হলে কেন্দ্রটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে আমি উদ্যোগী হব।” কেন্দ্রটিতে নিলাম চালু রাখতে বছরে কমপক্ষে ৭৬ লক্ষ কেজি চা পাতা প্রয়োজন। উদ্বোধনের বছরেই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে কেন্দ্র। পরের বছর তা কমে দাঁড়ায় ২৫ লক্ষ কেজি। তার পরের বছর ১৪ লক্ষ কেজিরও কম এবং ২০০৮-০৯-এ তা হয় ২৭ হাজার কেজি। ওই বছরই নিলাম কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। |