শেষ পর্যন্ত বীরভূমের দুবরাজপুরের পলাশডাঙা গ্রাম সংলগ্ন হিংলো নদীর গতিপথ আটকে থাকা ‘বিতর্কিত’ বাঁধ ভেঙে ফেলা শুরু করল প্রশাসন। সেচ দফতর ও পুলিশের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। এসডিও (হিংলো সেচ) জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, “গত সপ্তাহে এই বাঁধ ভেঙে ফেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এ দিন কাজ শুরু করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দুবরাজপুরের লোবা অঞ্চলে খোলামুখ কয়লাখনি গড়তে আসা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ-এ (পিপিসি) গড়া ডিভিসি এমটা কোল মাইনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ওই নদীর গতিপথ আটকে মাটি ফেলার অভিযোগ করেছিল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। |
ভাঙা হচ্ছে সেই বাঁধ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত |
তাদের অভিযোগ ছিল, ওই অঞ্চলের ১০টি মৌজায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমি কেনার কথা ছিল। কিন্তু ওই সংস্থা বিক্ষিপ্ত ভাবে জমি কিনে খনন কাজ শুরু করেছিল। যা দেখে কৃষি জমি রক্ষা কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রতিবাদ করেন। নদীতে মাটি ফেলার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
যদিও ওই সংস্থার দাবি, রবি চাষের জন্য অস্থায়ী ভাবে বাঁধ দিচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দারই। তাঁদের কথা মতো ওখানে মাটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ডিভিসি-এমটার জয়দেব খাগড়া প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্মল সরকার বলেন, “আমরা প্রথম থেকে দাবি করে এসেছি, ওটা রাস্তা নয়। বাঁধ। বাসিন্দারই তৈরি করেছেন। আমরা মাটির যোগান দিয়েছিলাম।” |