অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের ঘটনায় পুলিশি-তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার ওই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত পিন্টু দাসকে ‘পদ্ধতিগত ত্রুটির’ জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে না পারায় ফের প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। মঙ্গলবার বোলপুর আদালতের এসিজেএম পীযূষ ঘোষ অভিযুক্ত পিন্টু দাস ও মঙ্গল সাহানিকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, “পুলিশ পিন্টু দাসকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। এ দিন তাকে আদালতে তোলার পরে পুলিশ জেরা করতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু সেই আবেদনপত্রে নিয়ম অনুযায়ী কোনও ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকের ‘সুপারিশ’ ছিল না। এই পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য বিচারক পুলিশের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।” পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানিকে এ দিন আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তের হাত-পায়ের ছাপ ও লালার নমুনা সংগ্রহ করার আবেদন জানিয়েছিল। বিচারক তা মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশকে কেস ডায়েরি আদালতে জমা করার নির্দেশ দেন।
|
অভিযুক্ত পিন্টু দাস। — নিজস্ব চিত্র |
পুলিশের দাবি ছিল, জেরায় মঙ্গল স্বীকার করেছে, ১৩ জানুয়ারি রাতে রেণুদেবীর বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে সে তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছিল। তার সঙ্গে ছিল পিন্টু দাস। পুলিশ সোমবার রাতে পিন্টুকে গ্রেফতার করে। রাতে দু’জনকে বসিয়ে জেরা করা হয়। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের বক্তব্য। পিন্টুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া গেল না কেন? বোলপুর থানার পুলিশ জানাচ্ছে, এসডিপিও (বোলপুর) দেবস্মিতা দাস প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে রয়েছেন।
পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছ থেকেও সুপারিশ নেওয়া হয়নি। পুলিশ সুপার হৃষীকেশ মিনা বলেন, “পিন্টু দাসকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা পরে জেনেছি। তবে পরবর্তী সময়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হবে।” |