নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
একটি বেসরকারি ফেরো অ্যালয় কারখানায় দশ ঠিকা শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ডেপুটি লেবার কমিশনারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ না করে সংগঠন করার জন্যই ওই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। ডেপুটি লেবার কমিশনারের দফতর সূত্রে জানানো হয়, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করা হবে।
কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা সুশীল রায়ের অভিযোগ, ডিসেম্বরের শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁদের সমর্থক ১০ শ্রমিককে ছাঁটাই করেছেন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “দুর্গাপুজোয় বোনাসের পরিমাণ নিয়ে বিতণ্ডার পাল্টা হিসেবেই এমন করছেন কর্তৃপক্ষ।” সুশীলবাবু নিজেও ছাঁটাই হয়েছেন। তাঁর দাবি, নানা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় তাঁরা কর্তৃপক্ষের চক্ষুশূল হয়েছেন। আইএনটিটিইউসি-র কাজ করার জন্য এক জনকে কন্ট্রোল রুম অপারেটরের পদ থেকে সুপারভাইজার করে দেওয়া হয়েছে। আর এক আইএনটিটিইউসি সমর্থককে জোর করে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। |
বিক্ষোভ আইএনটিটিইউসি-র। নিজস্ব চিত্র |
অবিলম্বে ছাঁটাই করা কর্মীদের কাজে ফেরানো ও কারখানার ভিতরে কাজের সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজেদের পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থও দেখা উচিত।” কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (ওয়ার্কস) বি কে মহান্তি জানান, কারখানার কাজ বন্ধ রেখে সংগঠন করা এবং দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করার জন্যই ওই কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।
কারখানার এক কর্মী স্বপন মোদকের অভিযোগ, আগে এই কারখানায় সিটু ও আইএনটিইউসি-র সংগঠন ছিল। আইএনটিটিইউসি-র সংগঠন গড়ায় উদ্যোগী হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাঁকে হুমকি দেন। তাঁর কথায়, “চিঠি দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ।” জেনারেল ম্যানেজার (ওয়ার্কস) অবশ্য দাবি করেন, নতুন সংগঠন গড়ার নামে কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্যই তাঁরা চিঠি দিয়েছিলেন।
কারখানার আইএনটিটিইউসি নেতা সুশীলবাবু জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা ডেপুটি লেবার কমিশনারকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভও দেখান। ডেপুটি লেবার কমিশনারের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির মীমাংসা করা হবে। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “কারখানাগুলিতে শ্রমিকদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কর্তৃপক্ষের বিরোধ হয়। শ্রম দফতরের মধ্যস্থতায় তা মিটেও যায়। কমলপুরের কারখানার সমস্যাও সে ভাবেই মিটিয়ে ফেলা হবে।” |