টুকরো খবর
শিশুমৃত্যু চলছে
রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত মালদহ সদর হাসপাতালে ৬টি শিশুর মৃত্যু হল। শিশু বিভাগে চাপ কমাতে রবিবার নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র হাসপাতালে তালা বন্ধ আইসিইউ ওয়ার্ড খুলে সেখানে নতুন শিশু বিভাগ খোলার নির্দেশ দেন। কিন্তু সোমবারও তা খোলা হয়নি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মহম্মদ রশিদ বলেন, “এক দিনের মধ্যে কী করে শিশু বিভাগ খোলা যাবে? নতুন ওয়ার্ড খুলতে চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন। চিকিৎসক, নার্স পাওয়া গেলেই ওই ওয়ার্ডে শিশু বিভাগ খোলা হবে।” মহম্মদ রশিদ জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দুই জন যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। যমজেরা শিশুর স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অনেক কম ওজনের ছিল। চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আর এক জন জন্ডিস ও শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছে। শিশুদের চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না। এ দিন ৬১টি শিশু সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। আইসিইউ ওয়ার্ডে অস্থায়ী শিশু বিভাগ না খোলায় মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দ্রুত তা চালু করা হবে।” রতুয়ার তাজমবিবি রবিবার রাতে যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। চার ঘন্টা পর তাঁর দুই শিশু মারা যায়। ইংরেজবাজারের মোহনপুরের আসমানিবিবি যমজ ছেলে জন্ম দেন। তারা মারা যায়। সোমবার ভোরে কালিয়াচকের কস্তুরীবিবির এক দিনের শিশু ও গাজলের বাসিন্দা সমিতা বেসরার ৪দিনের শিশু কন্যা মারা গিয়েছে।

অচল অ্যাম্বুল্যান্স
দীর্ঘদিন অচল করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুল্যান্স। ফলে কোনও রোগীকে রেফার করলে জেলা সদরে যাওয়ার জন্য হয়রান হন বাড়ির লোকজন। শনিবার সন্ধ্যায় করিমপুরের হরিপুর মাঠ এলাকায় কন্যাযাত্রীদের বাসের সঙ্গে একটি সব্জিবোঝাই লরির ধাক্কায় ৩৫ জন আহত হন। তাঁদের ১৫ জনকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সটি অচল থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। জেলা হাসপাতালে রোগীদের পাঠাতে গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করেন তাঁরা। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঢিলেমিতেই এই অবস্থা। সুপার বিধুভূষণ মাহাতো বলেন, ‘‘অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় মাসদু’য়েক খারাপ স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি। ওঁরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স দেবেন।’’

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন ভবন
পরিষেবা বাড়াতে হবিবপুরের রানাঘাট-১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়। সোমবার ভবনটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেঘলাল শেখ, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতকুমার হালদার, মহকুমাশাসক সুমনকুমার ঘোষ, বিডিও দিব্যেন্দুশেখর দাস প্রমুখ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিদ্যুৎ গায়েন বলেন, “নতুন ভবন উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৫টি শয্যা বাড়ানো হল।” তিনি জানান খুব তাড়াতাড়ি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক্স-রে যন্ত্র-সহ সদ্যোজাতদের চিকিৎসার বিভিন্ন ইউনিট চালু করা হবে।

চণ্ডীতলায় স্বাস্থ্য মেলা
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিবার কল্যাণ ও স্বাস্থ্য মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে চণ্ডীতলার নৈটিতে। নৈটিতে রোটারি হেল্থ সেন্টারে ২২ তারিখ শুরু হওয়া ওই মেলা চলবে ২৪ তারিখ পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক স্বাতী খন্দকার এবং শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। মেলায় প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন থাকছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী মেলা প্রাঙ্গণে রোগীদের এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা সেমিনার, আলোচনা চক্র এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে নানা পথনাটিকার আয়োজন থাকছে প্রতিদিন। স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নানা সেমিনারও থাকছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেলার মূল উদেশ্য গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনা বাড়ানো।”

অ্যাম্বুল্যান্স দান
ঝালদা ২ ব্লকের বেগুনকোদর ও রিগিদ গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিজের উন্নয়ন তহবিল থেকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দিলেন জয়পুরের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো। সোমবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে বিধায়ক দুই পঞ্চায়েতের প্রধানের হাতে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দেন। দুই গ্রাম পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুল্যান্স দানের যুক্তি হিসেবে ধীরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “বেগুনকোদর অযোধ্যা পাহাড়ের এক কোনে। অন্য দিকে রিগিদ গ্রাম পঞ্চায়েতটিও প্রত্যন্ত এলাকায়। আদিবাসী প্রধান এই দুই পঞ্চায়েতেরই যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত।” বেগুনকোদর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় কর্মকার এবং রিগিদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় সরাঁই দু’জনেই জানিয়েছেন, এর ফলে তাঁদের এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

স্বাস্থ্যশিবির

পুলিশের উদ্যোগে রবিবার সিমলাপালের বিক্রমপুর গ্রামে একটি স্বাস্থ্যশিবির হয়েছে। বিক্রমপুর হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে সিমলাপালের বিএমওএইচ মহুয়া মহান্তির নেতৃত্বে চিকিৎসকদল প্রায় ৬০০ জন স্থানীয় বাসিন্দার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। অন্য দিকে, সোমবার বিষ্ণুপুর শহরের গোপালগঞ্জ এলাকায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.