বাঁকুড়ায় হাতির তাণ্ডব চলছেই |
বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকার সংগ্রামপুর, তালাঞ্জুর, হাটআশুড়িয়া, পূর্ণিয়া, জগন্নাথপুর, কেতুগ্রামে ঢুকে ৬টি মাটির বাড়ি ভেঙে ফেলেছে দলমার ১০০ হাতির একটি দল। রবিবার রাতের হামলায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, গম ও আলু খেত। ক্ষোভে ফুটছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে বনদফতরের বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রামে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে হাতির দলটি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় শতাধিক হাতির এই দলটির দিকে আমাদের নজর দিতেও সমস্যা হচ্ছে।” এদিকে বেশি ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় হাতি তাড়ানোর হুলাকর্মীও পাওয়া যাচ্ছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ৫০টি হাতির একটি দলকে নিয়ে একই সমস্যায় পড়েছে বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জ। রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ সোমবার বলেন, “রবিবার রাতে চিতরং, শালদহ, রাজপুর গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির দলটি। সোমবার সকালে পিয়ারডোবা রেলস্টেশনের কাছে হাতির তাড়া খেয়ে প্রাণে বেঁচেছেন তিন মহিলা। চিতরং গ্রামে তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন এক গ্রামবাসী।” স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “হাতির আতঙ্কে রাতে তো বটেই, এমনকি দিনেও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছি।” একসঙ্গে ৫০টি হাতি এলাকায় আস্তানা গাড়লেও বনকর্মীদের দেখা মিলছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। যদিও বলাইবাবুর দাবি, “কম লোকবল নিয়েও খবর পেলেই আমরা পৌঁছবার চেষ্টা করছি।” যদিও অতগুলি হাতির সামনে তাঁদের অসহায়তার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
|
হাতির হানায় ভাঙল বাড়ি, নষ্ট আলুখেত |
বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকার সংগ্রামপুর, তালাঞ্জুর, হাটআশুড়িয়া, পূর্ণিয়া, জগন্নাথপুর, কেতুগ্রামে ঢুকে ৬টি মাটির বাড়ি ভেঙে ফেলেছে দলমার ১০০ হাতির একটি দল। রবিবার রাতে ওই সব এলাকায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, গম ও আলু খেত। ক্ষোভে ফুটছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়ে বনদফতরের বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসার সৌমেন মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রামে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে হাতির দলটি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় শতাধিক হাতির এই বড় দলটির দিকে আমাদের নজর দিতেও সমস্যা হচ্ছে।” এদিকে বেশি ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় হাতি তাড়ানোর হুলাকর্মীও পাওয়া যাচ্ছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ৫০টি হাতির একটি দলকে নিয়ে একই সমস্যায় পড়েছে বিষ্ণুপুর বনবিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জ। ওই রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ সোমবার বলেন, “রবিবার রাতে চিতরং, শালদহ, রাজপুর গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির দলটি। সোমবার সকালে পিয়ারডোবা রেলস্টেশনের কাছে হাতির তাড়া খেয়ে প্রাণে বেঁচেছেন আদিবাসী তিন মহিলা। চিতরং গ্রামে তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন এক গ্রামবাসী।” স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “হাতির আতঙ্কে রাতে তো বটেই, এমনকি দিনেও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছি।” একসঙ্গে ৫০টি হাতি এলাকায় আস্তানা গাড়লেও বনকর্মীদের দেখা মিলছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। যদিও বলাইবাবুর দাবি, “কম লোকবল নিয়েও খবর পেলেই আমরা পৌঁছবার চেষ্টা করছি।” যদিও অতগুলি হাতির সামনে তাঁদের অসহায়তার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
|
একটি পুরুষ মাকনা হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করল বন কর্মীরা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মহানন্দা অভয়ারণ্যের পুন্ডিং খয়রানি বস্তিতে। বন দফতর জানায়, হাতিটির বয়স ৫০ বছর। তার শরীরের বাইরের দিকে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মুখের কাছে রক্ত দেখা যায়। চিকিৎসকদের সন্দেহ, বাইরের থেকে কোনও বিষাক্ত জিনিস খেয়ে গিয়ে হাতিটি মারা যায়। এর পেছনে চোরাশিকারির হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন বন কর্তারা। উত্তরবঙ্গের এক বন কর্তা (বন্যপ্রাণী বিভাগ) বলেন, “হাতির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।” এ দিন হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা বন কর্মীদের খবর দেন। চোরাশিকারির হাতে হাতিটির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করেন বন কর্মীরা। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে পশু চিকিৎসকরা সন্দেহ করেন। |