ধান বিক্রির চেক ‘বাউন্স’ করছে। পাশাপাশি, শর্ত ভেঙে চাষিদের ‘পোস্ট ডেটেড’ চেকও দেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের খাদ্যসচিব পি ক্যাথিরেসন।
খাদ্যসচিবের দাবি, “চেক বাউন্স করা, বা পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার সঙ্গে খাদ্য দফতর যুক্ত নয়। দায়ী ধানকলগুলি। এই ধরনের প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রাজ্যের ধান-চাল সংগ্রহের হাল নিয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় খাদ্য দফতরের এক যুগ্ম সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্যাথিরেসন। তার পরে তিনি ওই কথা বলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার জন্য ধানকলগুলিকে বিশেষ শিবির করার নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে ‘দফতর যুক্ত নয়’ বলে খাদ্যসচিব যে দায় এড়াচ্ছেন, তা কতটা যুক্তিযুক্ত?
ক্যাথিরেসন জানান, ধান-চালের দাম দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বহু দিন থেকে চেক-ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছে। এখন তা চালু করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে কনফেড, ইসিএসসি-এর মতো যে সব সংস্থার মাধ্যমে চাষিরা ধান বিক্রি করছেন, সেখানে চেক বাউন্স বা পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার খবর নেই।
রাজ্যের খাদ্য অধিকর্তা জয়দেব জানা বলেন, “এ বার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন। চলতি বছরে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪২ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে।” তিনি জানান, রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থায় চালের চাহিদা ১২ লক্ষ মেট্রিক টন। বাকি চাল এফসিআই-কে কিনে নিতে বলা হয়েছে।
খাদ্যসচিব বলেন, “ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে টাকার অভাব রয়েছে। তা মেটানোর জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০০ কোটি টাকা অগ্রিম চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র তা দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে আগের বছরগুলির চাল কেনার হিসাব পাঠালে দ্রুত সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় অর্থ সংগ্রহের জন্য বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে।” খাদ্যসচিব বলেন, “ধান সংগ্রহের জন্য এ পর্যন্ত আমরা ৫০০ শিবির চালু করেছি। আরও শিবির করার কথা ভাবা হচ্ছে।” খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, ধান সংগ্রহের জন্য খাদ্য দফতর যে পাঁচটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে, তার মধ্যে বেনফেড এখনও ধান সংগ্রহের জন্য কোনও শিবিরই করেনি। ইসিএসসি-র সংগ্রহও খুবই কম। |