নাইজিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কানোতে জঙ্গি এবং পুলিশ বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত হলেন শতাধিক মানুষ। সরকারি কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, সংখ্যাটা দেড়শো ছাড়াতে পারে। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই পুলিশ, তবে এর মধ্যে এক সাংবাদিকও আছেন। শনিবার শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল বহু মৃতদেহ। প্রায় সারা দিন ধরে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলে। অসংখ্য আহতের মধ্যে আছেন কিছু ভারতীয়ও। হামলার দায় স্বীকার করেছে মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। চারটি থানা, গোপন পুলিশের প্রধান কার্যালয় এবং অভিবাসন দফতর-সহ মোট আটটি জায়গায় শুক্রবার হামলা চালায় জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক জঙ্গিও। আক্রান্ত দফতরগুলির আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা গোলাগুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। এর ফলে অনেকে আহত হন। এক চিকিৎসক জানান, যে সব আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ভারতীয়-সহ বেশ কিছু বিদেশিও রয়েছেন। কয়েক জন আশঙ্কাজনক। ২০০৩ সালে আত্মপ্রকাশ বোকো হারামের। গত বছর জুলাই মাসে আবুজা শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জের আঞ্চলিক সদর দফতরে তাদের হানায় ২৬ জন নিহত হন। সম্প্রতি সংগঠনটির ধৃত সদস্যদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করে সরকার। দায় স্বীকারের সময়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে দুষেছে দলটির মুখপাত্র আবুল কাকা।
|
চক্রান্তের মাথাকে ধরতে তল্লাশি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢাকা |
বাংলাদেশে ফাঁস হয়ে যাওয়া সেনা অভ্যুত্থানের মাথা পলাতক সেনা অফিসার মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে ধরতে দেশের নানা জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অফিসার যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তার জন্য বিমানবন্দর ও চেকপোস্টগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সেনা বাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানায়, শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে সেনাদের মাঝারি স্তরের কিছু কট্টরপন্থী অফিসার অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করেছিল। দু’জনকে গ্রেফতার করে তা ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু চক্রান্তের মাথা মেজর জিয়া পলাতক। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই মেজরের। শুক্রবার তাঁর বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতেও পুলিশ তল্লাশি করেছে। সেনা-ছাউনি ও বন্দরগুলিতেও মেজর জিয়ার ছবি পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত এক প্রাক্তন সেনা অফিসার এহসান ইউসুফের ল্যাপটপ থেকে জানা গিয়েছে, অভ্যুত্থানের পরে নতুন সরকার গড়ার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছিল চক্রীরা। মাঝারি সারির কিছু সেনা অফিসারের নাম বিভিন্ন দফতরে মন্ত্রী হিসাবে বাছা হয়। নানা জায়গায় হানা দিয়ে হিজবুত তাহরিরের কিছু সদস্যকেও এ দিক আটক করা হয়েছে। |