প্রতিবাদ এবং চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেটে জালিয়াতি বিরোধী বিল আপাতত পাশ করছে না মার্কিন কংগ্রেস। ওই বিলের বিরোধিতা করে ১৭ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টার জন্য পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল উইকিপিডিয়া।
মার্কিন বিল পিপা (প্রোটেক্ট ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাক্ট) এবং সোপা (স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট)-এর বিরুদ্ধে উইকিপিডিয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছিল ওয়ার্ডপ্রেস এবং গুগলও। মার্কিন ওই বিল পাশ হলে বাক্-স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা ছিল উইকিপিডিয়া, গুগ্ল, ফেসবুক, ট্যুইটার, ইয়াহু, ই-বে’র মতো আরও ৭০টি ইন্টারনেট সংস্থার।
সংস্থাগুলির প্রতিবাদের এই পন্থা সমালোচিত হলেও ইন্টারনেটে সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল গোটা বিশ্বে। যার জেরে মার্কিন সেনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা হ্যারি রেড জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কথা মাথায় রেখে ২৪ জানুয়ারি পিপা ও সোপা-র জন্য যে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কবে ফের ভোটাভুটি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর বিচারবিভাগীয় কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান লামার স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সমালোচকদের মুখে শুনেছি এই বিল দু’টি নিয়ে হইচই হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটা চিন্তার বিষয়। তবে এটা স্পষ্ট যে এই বিষয়ে কী ভাবে এগোনো উচিত, সেটা নিয়ে আর এক বার ভেবে দেখা উচিত আমাদের।”
এই বিল দু’টির পক্ষে সায় দিয়েছে বিনোদন, প্রকাশনা, ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলি। ইন্টারনেটে সঙ্গীত, সিনেমা, বই ইত্যাদির জালিয়াতি আটকাতে তারা বিলের সমর্থন করছে। কারণ এই জালিয়াতির জেরে বছরে কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সংস্থাগুলির। কিন্তু প্রযুক্তি সংস্থাগুলির আশঙ্কা ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ শুরু হলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
তবে বিল পাশ হচ্ছে না জেনে খুশি ইন্টারনেট সংস্থাগুলি। ফেসবুক-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, “আইন প্রণেতারা যে আমাদের কথা শুনেছেন, এটা ভেবে ভাল লাগছে। তবে ইন্টারনেটে জালিয়াতি রুখতে বা মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন বন্ধ করতে আমরা সরকারের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতায় রাজি আছি। কিন্তু ইন্টারনেটে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না।” |