হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার পরে মাঝরাস্তায় প্রসবের অভিযোগ ফের উঠল বর্ধমানে।
সারা রাত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে থেকে বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটে বাপের বাড়িতে ফিরছিলেন পার্বতী মাঝি। তাঁদের অভিযোগ, প্রসব হতে এক মাস দেরি আছে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল। ফেরার সময়ে বর্ধমান শহরের কাছেই তালিতে প্রসব বেদনা শুরু হয়। বেগতিক বুঝে এলাকার লোকজন চট দিয়ে ছোট্ট একটি জায়গা ঘিরে দেন। সন্তান প্রসবের পরে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি পাঠান মা-শিশুকে।
সম্প্রতি এক সদ্যপ্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কলকাতার চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের বিরুদ্ধে। পরে মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির। মাস দুয়েক আগে উচ্চ রক্তচাপের কারণে বীরভূমের সিউড়ি জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এক প্রসূতিকে অন্যত্র ‘রেফার’ করার পরে পথে প্রসব হয় তাঁর। গত অক্টোবরেই মঙ্গলকোটের খেঁড়ুয়ার নমিতা থান্দারকে ‘মাসখানেক পরে প্রসব হবে’ জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল ছুটি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। |
পার্বতীর পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ বোধ করায় বুধবার বিকেলেই তাঁকে মঙ্গলকোটের নতুনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রক্তচাপ বেশি থাকায় সেখান থেকে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পার্বতীর মা কল্পনা বাগদি বলেন, “সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালে পৌঁছই। কাগজপত্র দেখে চিকিৎসক জানান, প্রসব হতে এক মাস দেরি আছে। আমাদের চলে যেতে বলা হয়। ফেরার বাস না পেয়ে সারা রাত হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে কাটাই।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের সুপার গদাধর মিত্র বলেন, “ওঁরা লিখিত অভিযোগ না করায় তদন্ত করা যাচ্ছে না। কাল সন্ধ্যায় যাঁরা জরুরি বিভাগে ছিলেন তাঁদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এক প্রসূতি এসেছিলেন ঠিকই। তবে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হবে, না কি ছেড়ে দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
এ দিন বিকেলে মঙ্গলকোটের গোতিষ্ঠায় বাপের বাড়িতে বসে পার্বতীদেবী বলেন, “চপ-বেগুনির দোকানের সামনে মেয়ে হয়েছে। তাই ওর নাম রেখেছি বেগনি।” |