তাজপুরে চলছেই অবৈধ নির্মাণকাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তাজপুর |
সৈকত উৎসব উপলক্ষে এসে গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিষেধ করে গিয়েছিলেন। সেই ‘নিষেধাজ্ঞা’ অমান্য করেই পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর সৈকতে বেআইনি হোটেল নির্মাণ চলছে।
গত ১৩ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈকতশহর দিঘায় সৈকত উৎসবের উদ্বোধন করার পরে ১৪ তারিখ তাজপুর পরিদর্শনে যান। তাজপুরের অনাবিল সৌন্দর্যে মুগ্ধ মুখ্যমন্ত্রী সৈকততটে একের পর এক হোটেল-লজ গজিয়ে উঠছে দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন। স্থানীয় রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এই সব নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে শুনে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান আশালতা মাঝিকে তিরস্কারও করেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
নির্দেশ উপেক্ষা করেই হোটেল নির্মাণ। তাজপুরে সুব্রত গুহের ছবি। |
এর পরেই তাজপুরকে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় আনার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অবিলম্বে সৈকতে অবৈধ নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি স্থানীয় পঞ্চায়েত-পুলিশ-প্রশাসন। অবৈধ নির্মাণ চলছে আগের মতোই। এর কারণ জানতে চাইলে একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতেই ব্যস্ত পুলিশ-প্রশাসন।
পঞ্চায়েত প্রধান আশালতা মাঝির বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই মৌখিক ভাবে নির্মাণ বন্ধের কথা জানিয়েছি। এর পরেও আপনি যখন নির্মাণ-কাজ চলছে বলছেন, তখন এ বার লিখিত নোটিস জারি করব ভাবছি।” রামনগর-১ ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক রানা বিশ্বাস আবার পঞ্চায়েতের উপরেই সব দায় চাপিয়ে বলেন, “এখনও কেন ওরা নোটিস জারি করেনি, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে ব্লক থেকেও নিষেধাজ্ঞার নোটিস জারি করা হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।” আর দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল বলেন, “দফতরের কাজের সূত্রে আমি এখন কলকাতায়। ফিরে গিয়েই অবৈধ নির্মাণ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” |
|