টুকরো খবর
দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু শ্রীরামপুরে
হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাবার হাত ধরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় বছর পাঁচেকের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম শেখ ইমরান। বাড়ি বাঙ্গিহাটি মাঝেরপাড়া এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ছেলেটি অসুস্থ ছিল। এ দিন চিকিৎসার জন্য তাঁর বাবা শিশুটিকে শ্রীরামপুর ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে অটোরিকশায় করে ফিরছিলেন। দুপুর ১টা নাগাদ মাঝেরপাড়ার কাছে অটো থেকে নেমে বাবার সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল শিশুটি। সে সময়ে কলকাতার দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে আসা একটি ছোট ট্রাক শিশুটিকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ফের ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ইমরানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিকে, চোখের সামনে ওই দুর্ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষেপে ওঠেন। বেগতিক বুঝে চালক ও খালাসি গাড়ি ফেলে পালাতে থাকে। জনতা তাঁদের পিছনে ধাওয়া করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দু’জনেই পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজ মেলেনি। এ দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শ্রীরামপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর রাজীব রায় বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গাড়িটিকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাড়িতে থাকা অন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চালক-খালাসির খোঁজ করার চেষ্টা চলছে।

উলুবেড়িয়ায় রাস্তার ধারে হাট, যানজট
উলুবেড়িয়া শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড। প্রতি শনিবার ব্যস্ত এই রাস্তার দু’পাশে হাট বসে। জামা-কাপড়, মাদুর, গামছা-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় টুকিটাকি বহু জিনিস নিয়ে রাস্তার ধারে বসে পড়েন বিক্রেতারা। কিন্তু রাস্তার ধারের অনেকটা জায়গা এমনিতেই দখল হয়ে গিয়েছে। তার উপরে, ফি শনিবার হাটের জেরে রাস্তায় চলাচল মুশকিল হয়ে পড়ে। যানজটে নাকাল হন মানুষ।হাওড়া ময়দান-সংলগ্ন এলাকার রাস্তার দু’ধার এবং বঙ্কিম সেতুর দু’দিকের ফুটপাথে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা বসতেন। ফলে, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া শহরে যান চলাচল ব্যাপক ভাবে বিঘ্নিত হত। বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবস্থা চলতে থাকলেও পুলিশ-প্রশাসন ছিল নির্বিকার। সম্প্রতি হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডের উদ্যোগে এই ফুটপাথ থেকে ব্যবসায়ীদের তুলে দেওয়া হয়। ফলে শহরে যান চলাচলে গতি এসেছে। বর্তমানে এই ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করছে প্রশাসন। এই একই ব্যবস্থা কেন উলুবেড়িয়া শহরের জন্য ভাবা হবে না, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, উলুবেড়িয়ার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এই ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড। সপ্তাহের শনিবার দিনটি ৫৪ গেট, গাদিয়াড়া প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের গাড়ির চাপ বাড়ে। আবার মাসের প্রথম ও তৃতীয় শনিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালত খোলা থাকে। রাস্তার উপরে গাড়ির চাপ বাড়ে এই দিনগুলিতেও। কিন্তু এক কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে বসা এই হাটের ফলে যানজট লেগেই থাকে। প্রাণান্তকর অবস্থা হয়। মঙ্গলাহাট সরানোর ফলে ইদানীং উলুবেড়িয়ার হাটে তাপ বেড়েছে বলেও জানালেন স্থানীয় মানুষ।সমাধান সূত্রের কথা জানাতে পারেনি পুরসভা। পুরপ্রধান দেবদাস ঘোষের কথায়, “হকারদের পুনর্বাসনের কথা না ভেবে কিছু করা যাবে না। কিন্তু পুনর্বাসন দেওয়ার মতো টাকার সংস্থান নেই আমাদের।” সিপিএমের ১ নম্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখ সাবিরের কথায়, “বিকল্প ব্যবস্থা করে এই হাট অন্যত্র সরাতে পারলে আখেরে সকলেরই লাভ হবে। তবে এর জন্য উপযুক্ত সদিচ্ছা চাই।”

তৃণমূল নেতাকে মারধর, ধৃত ৩
কাটারির কোপে জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের কুড়কুসি-সংলগ্ন মাঠে। এগরামূল হক মণ্ডল নামে পূর্ব রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তৃণমূলের বালিপুর অঞ্চল সহ সভাপতি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ পথ অবরোধ করে তৃণমূল। মিছিলও বের করে। ১৫ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, বহু বছর ধরে তাঁর চার বিঘা জমি দখল করে চাষ করেন কনকপুর গ্রামে কয়েক জন বাসিন্দা। এঁরা সকলেই বাম সমর্থক। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ফসলের ভাগ চাওয়ার ‘সাহস’ পেয়েছিলেন এগরামূল। কথা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার দু’পক্ষের মধ্যে হিসেব-নিকেশ হবে। এগরামূল জানান, তাঁকে ডাকা হয়েছিল মাঠে। সেখানে গেলে কথা কাটাকাটি বাধে। জনা কুড়ি লোক লাঠি-কাটারি নিয়ে চড়াও হয় তাঁর উপরে। অন্য দিকে, অভিযুক্ত লক্ষ্মী বেরা বলেন, “আমি দীর্ঘ দিনের ভাগচাষি। আমাকে উচ্ছেদ করতে লোকজন নিয়ে এসেছিলেন উনি। প্রতিবেশীদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি।” সিপিএম দাবি করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের সম্পর্ক নেই। জমিজমা-সংক্রান্ত বিবাদ তদন্ত-স্বাপেক্ষ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে জাতীয় স্তরের সেমিনার আরামবাগে
পদার্থবিদ্যার ইতিহাস বিষয়ক জাতীয় স্তরের সেমিনার হয়ে গেল আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী আয়োগের অর্থানুকূল্যে গত ৬-৭ জানুয়ারি নেতাজি মহাবিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের পদার্থবিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করা। নেতাজি মহাবিদ্যালয় ছাড়াও খানাকুলের ররাজা রামমোহন রায় মহাবিদ্যালয়, কামারপুকুর শ্রীকৃষ্ণ সারদা বিদ্যামহাপীঠ, বেঙ্গাইয়ের অঘোরকামিনী প্রকাশচন্দ্র মহাবিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন সেমিনারে। উদ্বোধন করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন বিষ্ণুচরণ সরকার। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের প্রাক্তন অধিকর্তা এবং অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের হোমিভাবা অধ্যাপক বিকাশ সিংহ, টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বিজ্ঞানী অধ্যাপক নবকুমার মণ্ডল-সহ বহু বিশিষ্ট অধ্যাপক, বিজ্ঞানী। ছাত্রছাত্রীদের আরও বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। সেমিনারের আহ্বায়ক নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিনয় মালাকার জানান, আন্তর্জাতিক স্তরের সেমিনার আয়োজনও করবেন তাঁরা।

ভারতচন্দ্র মেলা উদয়নারায়ণপুরে
উদয়নারায়ণপুরের পেঁড়োয় ভারতচন্দ্র মেলা কমিটির উদ্যোগে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর স্মৃতি সাহিত্য মন্দির প্রাঙ্গণে ৩৬তম বর্ষ ‘ভারতচন্দ্র মেলা’ শুরু হয়েছে ১৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। মেলা চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। কৃষি শিল্প প্রদর্শনী ও ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবন ও সাহিত্য মাটির পুতুলের মাধ্যমে দেখার জন্য মেলায় ভালই ভিড় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। মেলা কমিটির মূল উদ্যোক্তা ওঙ্কারনাথ রায় বলেন, কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের ৩০০ তম জন্ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে মেলা, প্রদর্শনী এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আড়ম্বর অন্য বছরের চেয়ে বেশি। মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিন থাকছে কবিতা, নাটক, যাত্রা, তরজা গান, বাউল সঙ্গীত ইত্যাদি অনুষ্ঠান। মেলায় নাগরদোলা, ম্যাজিক শো, পুতুলনাচের পাশাপাশি নানা রকম মনোহারি দোকান রয়েছে।

ফানুস উৎসব কোন্নগরে
— নিজস্ব চিত্র।
কোন্নগর নবগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘শিশুপাঠ’-এর প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ‘শিশুপাঠ অ্যালামনি’ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১৫ জানুয়ারি স্থানীয় সেবক সঙ্ঘের মাঠে ফানুস উৎসব হল। ৮টি ফানুস ছাড়া হয়। থিম ছিল ‘শিশুশ্রম দূরীকরণ ও সকলের জন্য শিক্ষা’। প্রাক্তনী ছাড়াও বর্তমান ছাত্রছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছিলেন।

পীরের মেলা মুন্সিরহাটে
গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ‘পীরের মেলা’ শুরু হয়েছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটে। ‘পীর ফতে আলি শাহ উরস ও মেলা কমিটি’র পক্ষে শতাধিক বছরের পুরনো এই মেলা চলবে এক মাস ধরে। মেলার উদ্বোধন করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার প্রথম দিন কাওয়ালি-সহ নানা ধরনের গান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রতি দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তা ছাড়া, ম্যাজিক শো, পুতুল নাচ, নাগরদোলার আসর বসেছে। রকমারি মাটির জিনিস, খেলা-সহ নানা দোকানও বসেছে মেলা প্রাঙ্গণে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.