কলকাতার পেট্রোল পাম্পগুলির হাল খতিয়ে দেখতে পরিদর্শক দল পাঠাচ্ছে দমকল। সেই সঙ্গে পাম্পগুলির জন্য দমকলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকাও পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান মহাকরণে এ কথা জানান। তিনি আরও জানান, খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পে গ্যাস জ্বালিয়ে রান্নাও হয়। দমকলের নির্দেশিকা না মানলে পাম্পগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মবিরতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্লাসরুমে তাঁদের চেয়ার ফিরিয়ে দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাসে বসে পড়াতে পারবেন না, গত ৯ জানুয়ারি এই নির্দেশ জারি করেন ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশ বা ফতোয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্কও। শহরের বিশিষ্টজনেরা জানান, শিক্ষকদের প্রতি এ হেন নির্দেশ অযৌক্তিক এবং হাস্যকর। এক শিক্ষিকা জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৃহস্পতিবার তাঁদের বৈঠক হয়। সেখানে ক্লাসে চেয়ার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালন সমিতির সদস্যেরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যান্য অভিযোগও শোনেন তাঁরা। সেই সমস্যাও দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে খবর। বৈঠকের পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্মবিরতি তোলেন।
|
বইমেলা কর্তৃপক্ষকে এ বারও প্রমোদ-কর ছাড় দিল না কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভা পরিষেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই বইমেলা কর্তৃপক্ষের উচিত, বকেয়া প্রমোদ কর-সহ পুরসভার সব প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া।” তিনি জানান, প্রমোদ কর মকুব নিয়ে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সঙ্গে ডেপুটি মেয়রের কথা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। এ দিন মহাকরণে গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, বকেয়া প্রমোদ-কর মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভার কাছ থেকে তাঁরা চিঠি পেয়েছেন। তাঁরাও পুরসভাকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, মিলনমেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা করার জন্য শিল্প-বাণিজ্য দফতর তাঁদের কাছে ৭০-৮০ লক্ষ টাকা চেয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা নিয়ে কথা চলছে। গতবার প্রাঙ্গণের ভাড়া বাবদ বইমেলা কর্তৃপক্ষ ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল।
|
কলকাতা পুরসভার ওয়েভার প্রকল্পে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গেই রাজ্যের পক্ষ থেকে পুরসভাকে জানানো হয়েছে, এ বার থেকে সম্পত্তিকর আদায়ে পুরসভাকে আরও সচেষ্ট হতে হবে। করদাতারা যাতে নিয়মিত কর দেন, সে জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ কথা জানিয়ে বলেন, এই প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া যাবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে যাঁদের কর বকেয়া আছে ৩১ মার্চ ২০১১ পর্যন্ত, তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন। |