অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বহু অনিয়ম উদয়নারায়ণপুরে
উদয়নারায়ণপুর ব্লকে অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর নেই। শিশুরা খোলা জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে পড়াশোনা করে। সব কেন্দ্রে উপযুক্ত শৌচাগারও নেই। রান্না করার জায়গা বা বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেই। কর্মীদের মেডিক্যাল ভাতা বলে কিছু নেই। মাতৃত্বকালীন ছুটি ছাড়া অন্য কোনও অসুখ হলে ২-৩ মাস ছুটি পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ছুটি চলাকালীন বেতন পাওয়া যায় না। সহায়িকাদের পাঁচ বছর পূর্ণ হলেই তাঁরা কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে পারেন। এ ভাবে অনেক সহায়িকাই পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মী পদে নির্বাচিত হয়ে কাজ করে চলেছেন। একই ভাবে কর্মীদের চাকরির দশ বছর পূর্ণ হলে তাঁরা সুপারভাইজার পদের পরীক্ষায় বসতে পারেন। কিন্তু নিয়ম থাকলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কর্মীরা সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। গত দু’ বছর ধরে এই ব্লকে ১৪ জন সহায়িকা কর্মী পদে উন্নীত হয়েছেন। কিন্তু কর্মী হিসাবে বেতন পেলেও তাঁদের সহায়িকা হিসাবে কাজ করানো হচ্ছে। বহু বয়স্কা সহায়িকা আছেন। তাঁরা ঠিক মতো কাজ করতে পারেন না। তাঁরা আবার এক জন করে লোক রেখে কাজ করাচ্ছেন। তাঁদের দেখাদেখি কম বয়সী সহায়িকাও অনেক কেন্দ্রে বেআইনি ভাবে সহকারী রেখেছেন। অথচ এই বেনিয়ম ধরার কেউ নেই।
প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়াহোক সরস্বতীর নদীর
হুগলির ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গার একটি শাখানদী সরস্বতী উৎপন্ন হয়ে প্রথমে পশ্চিমে পরে দক্ষিণ বরাবর প্রবাহিত। সে কালের সপ্তগ্রাম বন্দর এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল। সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটা দেবানন্দপুর এই নদীর কিনারায়। কিন্তু এককালের স্রোতস্বিনী সরস্বতী নদীর এখন বড়ই করুণ দশা। ত্রিবেণী, দেবানন্দপুর, অমরপুর হয়ে বিলকুলি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথ দীর্ঘ দিন ধরে কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদে সম্পূর্ণ ভরে গিয়েছে। পলি জমছে। সব মিলিয়ে দ্রুত মজে যাচ্ছে নদী। অথচ দু’দশক আগেও এই নদীতে নৌকো চলত। পাওয়া যেত হরেক রকমের মাছ। এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন বহু মানুষ। এখন নদীপথের বেশির ভাগ জায়গায় জল দেখাই যায় না। কোড়লায় হলুদপুরে নদীর জল কুৎসিত ও দুর্গন্ধময়। ওই পচা জলই বাসন ধোয়ার কাজে ব্যবহার করেন অনেকে। একশো দিনের কাজে এই নদীর জলজ জঞ্জাল পরিষ্কার করার কাজ করা যায় কিনা, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। শুখা মরসুমে নদীখাত সংস্কারের কাজও হতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তা হলে নদী ফের প্রাণ পাবে। এ ছাড়া, বিলকুলি ন’পাড়ার কাছে এই নদীর উপরে সেতুটির খুবই জরাজীর্ণ দশা। এটিরও সংস্কার জরুরি।
কামারকুণ্ডুতে ওভারব্রিজ চাই
হুগলি জেলার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রাস্তা হল তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটি রোড। আরামবাগ মহকুমা-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে সদর শহর চুঁচুড়া ও কলকাতা যাওয়ার নির্ভরযোগ্য পথ এটি। এ ছাড়া, তারকেশ্বর তীর্থক্ষেত্রে প্রতি দিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন। উৎসবের মরসুমে ভিড়টা বলাইবাহুল্য অনেকটাই বাড়ে। লক্ষাধিক যাত্রী নিমাইতীর্থঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে বাঁক কাঁধে হেঁটে যান এই পথেই। এই রাস্তার উপর দিয়েই কামারকুণ্ডুর মধ্যে দিয়ে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার রেলপথ গিয়েছে। কামারকুণ্ডুতে এক বার গেট পড়লে কম পক্ষে কুড়ি মিনিট আটকে থাকতে হয়। প্রচুর যানজট সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারাও মুশকিলে পড়েন। ইতিপূর্বে পাঁচ জন তীর্থযাত্রী লেভেলক্রসিং পেরোতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সকলের স্বার্থে কামারকুণ্ডুতে একটি ওভারব্রিজ তৈরি করা খুবই দরকার।
প্রাথমিক স্কুল চাই চণ্ডীতলার গ্রামে
চন্ডীতলার খালকুল্লা এলাকায় মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। আঁইয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত গ্রাম হলেও গ্রামের উন্নতি তেমন হয়নি। বিরাট এই খালকুল্লা গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুলের দাবি বহু দিনের। এ ছাড়া, আঁইয়া পঞ্চায়েতের বিএসএমএফসি একটি প্রাচীন ফুটবল ক্লাব। বাঁদপুর-ইছাপসর পাকা সড়কের পাশে এই ফুটবল সংস্থার নিজস্ব মাঠ আছে। এখানকার বহু খেলোয়াড় কলকাতার নামী-দামি ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ফুটবল মাঠের এক দিকের খালের বিরাট অংশ থেকে মাটি ধসে পড়ছে বহু দিন ধরে। ফলে, মাঠের কিছু অংশে জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা আছে। এই মাঠটির সংরক্ষণ খুবই জরুরি।
পথ সংস্কার জরুরি
মাহেশ জাননগর রোড শহরের বুক চিরে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপথ। রাস্তাটি মাহেশকে শ্রীরামপুরের সঙ্গে বিকল্প যোগাযোগের ব্যবস্থা হিসাবে খুবই প্রয়োজনীয়। শহরের মূল রাজপথ জিটি রোড যখন অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বিপর্যস্ত এবং বিপদসঙ্কুল, তখন এই বিকল্প পথটি ব্যস্ত শহরের অধিবাসীদের কাছে আশীর্বাদ। অথচ, রাস্তাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার শিকার। রাস্তার হাল খুবই খারাপ। শুখা মরসুমে রাস্তাটি অত্যন্ত এবড়োখেবড়ো। বর্ষাকালে সে সব গর্তই জলমগ্ন হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। রাস্তাটি সারানোর জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ভাল।
রাস্তা সারাই হোক
আরামবাগ থেকে মদনপুরগামী বাস চলে ভায়া কাবলে, পিরিজপুর, কাঁটামনি হয়ে। এই রাস্তায় যে ক’টি বাস চলে, সেগুলি সব সময়েই ভিড়ে ঠাসা থাকে। কাবলে থেকে মদনপুর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরি। যাত্রিস্বাচ্ছন্দের জন্য বাসের সংখ্যাও বাড়ানো উচিত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.