টুকরো খবর |
ডিওয়াইএফ-এর স্মারকলিপি পেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
গৃহবধূ কবিতা দেবনাথের উপর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুভাষ দেবনাথকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার শামুকতলা থানায় স্মারকলিপি দিল ডিওয়াইএফের আলিপুরদুয়ার-২ জোনাল কমিটি। সংগঠনের সম্পাদক খোকন দেবনাথ বলেন, “তৃণমূলের কয়েকজন নেতা অভিযুক্ত সুভাষ দেবনাথকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের কাছে দাবিপত্র দেওয়া হল।” বৃহস্পতিবার একই দাবিতে শামুকতলায় প্রতিবাদ সভা করা হবে বলেও জানান তিনি। অভিভাবক মঞ্চের পক্ষ থেকেও এ দিন কবিতা দেবনাথের উপর নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সুভাষ দেবনাথকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের কাছে ফ্যাক্স করে দাবিপত্র পাঠিয়েছি। আশা করছি, মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।” এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছোট চৌকিরবস নতুনবাজারে মহাকালগুড়ি অঞ্চল তৃণমূল দলীয় পতাকা লাগিয়ে সভা করে। সুভাষ দেবনাথ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত নয় বলেও দাবি করা হয়। স্থানীয় নেতারা দাবি করেন, “নির্যাতনের সময়ে সুভাষবাবু ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। সিপিএম চক্রান্ত করে করে সুভাষবাবুকে ফাঁসাচ্ছে।” এ ছাড়া বক্তারা সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, “সংবাদমাধ্যম সিপিএমের হয়ে কাজ করছে। ঘটনাটি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করেছে সংবাদমাধ্যম।” এ ব্যাপারে যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিচারাধীন কোনও বিষয়ে নাক গলানো কোনও ভাবে উচিত নয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক অভিযুক্তকে কেন নির্দোষ বলে দাবি করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি জেনে দলনেত্রীকে জানাব।” কবিতা দেবী এদিনও দাবি করেন, “সুভাষ দেবনাথের নির্দেশে আমার উপর পাশবিক নির্যাতন চলেছে। সেদিন তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এর আগেও বহুবার আমার উপর অত্যাচার চালিয়েছেন তিনি। প্রতিবার সুভাষ দেবনাথের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। তার প্রতিটি কপি আমার কাছে আছে। সুভাষ দেবনাথ চাইলে নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগী হতে পারতেন। তা না-করে নিজে হাতে মারধর করেছেন।”
|
কাজ বন্ধে নোটিস মদনবাড়ি বাগানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মদনবাড়ি চা বাগানে বুধবার থেকে কাজ বন্ধের ঘোষণা করেছেন মালিকপক্ষ। এদিন বাগানের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়াকের্’র নোটিশ ঝুলিয়ে দেন মালিকপক্ষ। জেলার মাঝারি চা বাগান বলে পরিচিত মদনবাড়ি চা বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, একাংশ শ্রমিকের অসহযোগিতার কারণেই বাগানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। উল্টোদিকে শ্রমিক পক্ষের তরফে ইচ্ছেকৃত ভাবে শুখা মরসুমে চা বাগান বন্ধ করে বঞ্চনার অভিযোগ করা হয়েছে। ২৬৪ একরের এই চা বাগানে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিনশো শ্রমিক কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। মালিকপক্ষের অভিযোগ, বাগানের একাংশ শ্রমিক নির্দেশমতো কাজ করছেন না বলেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বাগানের এক সহকারী ম্যানেজারকে শ্রমিকরা হেনস্থা করেছেন বলেও মালিকদের অভিযোগ। বাগানের ম্যানেজার অরুণবিকাশ চক্রবর্তী বলেন, “শ্রমিকদের অসহযোগিতার কারণেই বাগানের কাজ পরিচালনা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। শ্রমিকরা কিছুতেই কাজ করতে চায়নি। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করছিলেন। সে কারণেই বাগানের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।” যদিও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তপন দে বলেন, “কোনও শ্রমিক কথামতো কাজ নাও করতে পারেন। তার জন্য সব শ্রমিককে দায়ী করা হবে কেন? শ্রমিকরা যদি কাজ না করেই বলেন মালিকপক্ষ শ্রম দফতরে বা প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে পারতেন। তা না-করে রাতের অন্ধকারে বাগানে গেটে নোটিশ ঝুলিয়ে মালিকপক্ষ পালিয়ে যেতেন না। আগামীকাল জেলা প্রশাসনকে স্মার কলিপি দেব। শ্রমিকদের দু’সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া রয়েছে।” মালিকপক্ষের সংগঠন আইটিপিএ-র উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “বুধবার মালিকপক্ষের তরফে মদনবাড়ি চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাগানের শ্রমিকরা অসহযোগিতা করাতেই মালিকপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের মাসকলাইবাড়ি এলাকায় একটি বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে যায়। তার আগে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন এক মহিলা-সহ তিন জন। পুলিশ জানায়, মৃত রাধারানি গোস্বামী (৮০) ওই এলাকারই বাসিন্দা। রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগেই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। শিলিগুড়ি থেকে আসা বালি বোঝাই ট্রাকটিও বেপরোয়া ভাবে আসছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অপ্রশস্ত রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার তৈরির ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা এলাকায় ঘটছে বলে অভিযোগ। দুর্ঘটনার পরে ডিভাইডার ভাঙার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা মাসকলাইবাড়ি এলাকায় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সড়কে পথ অবরোধ করে রাখেন। বাসিন্দাদের আন্দোলনের চাপেন দুপুরে পূর্ত দফতরের কর্মীরা এসে ডিভাইডারটি ভেঙে দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। শিলিগুড়ি থেকে আসা একটি বালি বোঝাই ট্রাকটি রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তার পরেই বেসামাল ট্রাকটি রাস্তার পাশে একটি বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারে। সেই সময় ফুটপাতে বসে ছিলেন রাধারানীদেবী। কমলা ঘোষ নামের আরেক মহিলাকে ট্রাকটি ধাক্কা মেরে একটি সেলুনে ঢুকে পড়ে।
|
শ্রমিকদের সাহায্য দান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পানিঘাটা চা বাগানের শ্রমিকদের চাল ও সবজি তুলে দিলেন দার্জিলিং জেলা চিয়া কামান মজদুর ইউনিয়ন এবং ডিওয়াইএফের সদস্যরা। বুধবার ওই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে শতাধিক শ্রমিকের হাতে ওই সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। শ্রমিক আন্দোলনের জেরে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে চা বাগানটি বন্ধ। বিপাকে পড়েছেন তা বাগানের প্রায় ৭০০ শ্রমিক। বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনাহারের মুখে পড়েছেন বহু পরিবার। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ সংগ্রহের নামেন চিয়া কামান মজদুর ইউনিয়ন এবং ডিওয়াইএফ সদস্যরা।
|
বিডিওকে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করে বিডিও এবং নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখলেন রায়পাড়ার বাসিন্দারা। সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কিছু লোককে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একশো দিনের কাজ দেওয়া হয়। অভিযোগ, অনেকেরই জব কার্ড, ব্যাঙ্কের পাশ বই, এটিএম কার্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য আটকে রাখেন। এই ব্যাপারে বাসিন্দারা নকশালবাড়ির বিডিও রামকুমার তামাংকে অভিযোগ জানানোর পরেও থানায় এফআইআর হয়নি বলে অভিযোগ তুলে এদিন বিকেল ৩টে থেকে তাঁরা ঘেরাওয়ে নামেন। পরে তৃণমূলের তরফে শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সৌরভ পাহাড়িকে অভিযোগ জানিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি তোলা হয়। মহকুমাশাসকের আশ্বাসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘেরাও ওঠে। মহকুমাশাসক বলেন, “তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই থানায় অভিযোগ দায়ের হবে।”
|
নয়ছয়ের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কল্যাণে তৈরি বেসরকারি সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরের পাঠানোর জন্য চাঁদা তুলে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠল ভারতীয় যুব মোর্চার দার্জিলিং জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। বুধবার এ ব্যাপারে দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্মী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শৈলেন রায় নামে ওই পুলিশ কর্মীর অভিযোগ, বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি করে সভাপতি তাঁর কাছ থেকে টাকা নেন। বাংলাদেশে গিয়ে তিনি দেখতে পান, কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। তদন্ত দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশও। শৈলেনবাবু বলেন, “থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আদালতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দেব।” অভিযুক্ত যুব মোর্চা সভাপতি বাপি পাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ ভুয়ো অভিযোগ। আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দলেরই একাংশ এর সঙ্গে জড়িত। শৈলেনবাবুও ভুয়ো অভিযোগ করছেন। তৃণমূল নেতারাও ভুয়ো অভিযোগ করছেন। প্রয়োজন হলে তদন্ত হোক। তাহলেই সব স্পষ্ট হবে।” শিলিগুড়ি থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রায় জনা কুড়ি প্রতিনিধি নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া হয়। ওই দলে পুরসভার এক মেয়র পারিষদও ছিলেন। যাতায়াতের খরচ বাবদ সোসাইটির পক্ষ থেকে শহরের নানা ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সোসাইটির সদস্য না-হলেও বাপিবাবু টাকা তোলায় সক্রিয় ভুমিকা নেন বলেও অভিযোগ। এক মেয়র পারিষদের কাছেও তিনি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। সোসাইটির সম্পাদক বিমলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “বাপি পালের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনও যোগাযোগ নেই। যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
|
খোঁজ নেই ব্যবসায়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অপহরণের আট দিন পরেও শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী বিজয় কিল্লার হদিশ পায়নি পুলিশ। বুধবার রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি সঞ্জয় সিংহের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ওই ঘটনায় ক্ষোভ জানায় সিপিএম। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির এক প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি দলের ২ নম্বর শিলিগুড়ি লোকাল কমিটির সদস্যরা আইজির সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি রাতে শালুগাড়ার কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হন বিজয়বাবু। ইসলামপুরের বিহার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁর গাড়ি উদ্ধার করা হয়। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার বলেন, “ঘটনার পরে আট দিন কেটে গেলেও ব্যবসায়ীর হদিশ পায়নি পুলিশ। তা নিয়ে শিলিগুড়িতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই ব্যপারে পুলিশকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।” রাজ্য পুলিশের আইজি বলেন, “ওই ব্যবসায়ীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সমস্তরকম দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বিক্ষোভ |
১০০ দিনে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করে বিডিও ও নকশালবাড়ি পঞ্চায়েতে সাড়ে ৪ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখলেন রায়পাড়ার বাসিন্দারা। অভিযোগ, অনেকেরই জব কার্ড, ব্যাঙ্কের পাশ বই, এটিএম কার্ড পঞ্চায়েতের সদস্য আটকে রাখেন। মহকুমাশাসকের আশ্বাসে সন্ধ্যায় ঘেরাও ওঠে। |
|