|
|
|
|
ঘোষণা শুভেন্দুর |
পঞ্চায়েত ভোটে সবংয়ে একাই লড়বে তৃণমূল |
সুমন ঘোষ • সবং |
জোট শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে বার্তা দিতে চান দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী তার আগের দিনই ঘোষণা করে দিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে সবংয়ে তৃণমূল একাই লড়বে। সেচ ও ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়ার নির্বাচনী কেন্দ্র সবংয়ে বুধবার সভা করে শুভেন্দু ঘোষণা করেন, “কোথায় কী হবে পরের কথা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবংয়ে তৃণমূল একাই লড়বে। এক নম্বরে থাকব আমরাই। সবং যে কারও খাসতালুক নয়, প্রমাণ হয়ে যাবে তখনই।” |
|
সবংয়ের সভায় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
প্রসঙ্গত, ধান-পাটের দাম, সন্ত্রাস, কলেজে সংঘর্ষ থেকে শুরু করে রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলনানা প্রশ্নে কংগ্রেস-তৃণমূলে ঠোকাঠুকি চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। গত ৪ জানুয়ারি কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে সভা করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। তাতে মানসবাবুরও ‘জোরালো’ ভূমিকা ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের বিবাদে মানসবাবু মমতার পক্ষই অবলম্বন করছেন। সে জন্য কংগ্রেসের মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী তাঁকে কটাক্ষও করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের আক্রমণের জবাব দিতে গত ৯ জানুয়ারি কলকাতার মেয়ো রোডে সমাবেশ করেছিল যুব তৃণমূল। সেখান থেকেই সবংয়ের এ দিনের সভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে এ দিন মানসবাবুকে আক্রমণ না করে তৃণমূলের উপায় ছিল না। মানসবাবু অবশ্য শুভেন্দু-সহ তৃণমূল নেতৃত্বের এ দিনের আক্রমণকে ‘গুরুত্ব’ দিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “এ সব নিয়ে আমি চিন্তা বা পরোয়া করি না। মানুষই এ সবের জবাব দেবেন।”
এ দিন সবং স্কুলমাঠে কংগ্রেস নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “কৃষকেরা ধান-পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে রাজ্য সরকারকে দায়ী করে ওঁরা কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে সভা করেছেন। ওঁরা ভাল করেই জানেন, ধান-পাটের সহায়ক মূল্য ঘোঘণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সব জেনেও এবং সরকারের শরিক হয়েও ওঁরা আক্রমণ করবেন বলেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। সিপিএমকে অক্সিজেন দিতে চাইছেন। এ বার আমরাও তা হলে দিল্লির যন্তরমন্তরে রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে গিয়ে সমাবেশ করব।”
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “কংগ্রেসেই তো ছিলাম! কিন্তু ওই দলে থেকে মানুষের জন্য আন্দোলন করা যাচ্ছিল না। তাই তৃণমূল তৈরি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” সভামঞ্চ থেকে মানসবাবু ও অন্য কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, অজিত ভুঁইয়ারাও।
মানসবাবু সব জেনে বলেন, “তাঁরা তাঁদের ভাষায়, ভঙ্গিতে ও আদর্শগত অবস্থান থেকে আমাকে বা কংগ্রেসকে যে আক্রমণ করবেন, তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সংসদীয় গণতন্ত্রে বহুদলীয় ব্যবস্থায় প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই বক্তব্য পেশের অধিকার আছে। আমি তো অনেক দিন থেকেই আক্রমণের লক্ষ্য! দলের ভিতরে-বাইরে আমাকে অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েছে। সবংয়ের মানুষ সব দেখছেন। আগামী দিনে তাঁরাই বিচার করবেন।” |
|
|
|
|
|