ইস্টবেঙ্গলকে সরিয়ে আই লিগে আবার শীর্ষে চলে গেল ডেম্পো। এয়ার ইন্ডিয়াকে ৩-১ উড়িয়ে। র্যান্টি মার্টিন্স জোড়া গোল করলেন, কোকোর তৃতীয় গোল। আই লিগে বুধবার ছিল গোয়ার দিন। লাজংকে ঘরের মাঠে প্রথম হারাল চার্চিল। ফল ২-০। দুটি গোলই বেটোর। করিমের সালগাওকর আবার জয়ের রাস্তায় ভালভাবেই। তারা ৪-০ উড়িয়ে দিল হ্যালকে। শেষ ৬টি ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নষ্ট করেছে সালগাওকর। তারাও দৌড়ে এখন। এ দিন মহারাষ্ট্র ডার্বিতে পুণে এফ সি মুম্বই এফসিকে ৩-০ হারিয়ে ভাল জায়গায়। তবে ডেম্পোর সুবিধা, তারা পরের ম্যাচ থেকে ত্রিনিদাদ ও জাপানের ফুটবলারকে পাবে। তারা এত দিন খেলছিল দুই বিদেশি নিয়ে। কোচ আর্মান্দো কোলাসো ফোনে বললেন, “জাপানি কাটো দু’দিন পরে আসছে। ২৯ সালগাওকর ম্যাচে খেলাতে পারি।” আই লিগে এখন ১৫ ম্যাচের পরে প্রথম তিন জায়গায় ডেম্পো (৩৩), ইস্টবেঙ্গল (৩০), চার্চিল (২৯)। মোহনবাগান একটি ম্যাচ কম খেলে ২৭ পয়েন্টে চার নম্বরে। তার পরে পুণে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্টে। সালগাওকর ১৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বর। প্রয়াগ ইউনাইটেড আজ কলকাতায় চিরাগ কেরলের বিরুদ্ধে নামছে। সেই ম্যাচ জিতলে তারাও ২৫ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। প্রয়াগের পক্ষে বড় ধাক্কা, লালকমল ভৌমিক নেই। দুই তারকা অর্ণব ও দেবদাস চাকরির পরীক্ষা দিয়ে খেলতে নামবেন।
|
বিরাট বড় রান তুলতে না পারলেও ইংল্যান্ডের থেকে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৯৬ রানে এগিয়ে থাকল দ্বিতীয় দিনের শেষে। হাতে তিন উইকেট মজুত রেখে। তবে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল ইংল্যান্ডকে প্রথম দিনে যতটা হতোদ্যম দেখাচ্ছিল, এ দিন সেটা কিছুটা হলেও সামলে নিয়েছে তারা। সারা দিনে ৯০ ওভার খেলে পাক ব্যাটসম্যানরা আড়াইশো রানও তুলতে পারেননি। উল্টে ইংরেজ বোলাররা ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন বিপক্ষের। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের ১৯২ রানের জবাবে পাকিস্তান প্রথম টেস্টে ২৮৮-৭। ইংল্যান্ড আবার পাক শিবিরে টেনশনও ছড়িয়ে দিতে পেরেছে। সঈদ আজমলের ‘দুসরা সন্দেহজনক’ বলে মন্তব্য করে বব উইলিস ঝড় তুলেছেন এ দিন। যাকে অফস্পিনার আজমল স্বয়ং ‘রাবিশ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশে পেয়েছেন নিজের দেশের প্রাক্তনদেরও। আজ অ্যান্ডারসন-ব্রড-সোয়ানরা (তিন জনই ২ উইকেট করে নিয়েছেন) দুই পাক ওপেনার মহম্মদ হাফিজ ও তৌসিফ উমরের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ (১১৪) ভাঙার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। হাফিজ ৮৮ ও উমর ৫৮ করার পর পাক অধিনায়ক মিসবাই একমাত্র হাফসেঞ্চুরি (৫২) পেরোন।
|
গুজরাতের বালসারে ২৭-৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ম্যাচের দলে বাছা হল বাংলা থেকে পাঁচ ক্রিকেটারকে। পনেরো জনের দলে আছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অশোক দিন্দা, অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামী এবং সামি আহমেদ। মনোজ তিওয়ারি ও ঋদ্ধিমান সাহা অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ান ডে সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে বিবেচিত হননি। অধিনায়ক ওডিশার নটরাজ বেহরা এবং সহ-অধিনায়ক ঝাড়খণ্ডের ইশাঙ্ক জাগ্গি। দলে রয়েছেন ধীরাজ যাদব (অসম), এমএস বর্ধন (ঝাড়খণ্ড), বিবি সামন্তরায় (ওডিশা), শুভ্রজিৎ রায় (ত্রিপুরা), আবু নেচিম আহমেদ (অসম), বসন্ত মোহান্তি (ওডিশা), এস নাদিম (ঝাড়খণ্ড) এবং গোকুল শর্মা (অসম)।
|
স্থানীয় ক্রিকেটে দু’দিনের লিগে বেলগাছিয়া ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন ইস্টবেঙ্গল ওপেনার অরিন্দম দাস (১১২)। রান পেয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী (৮২) এবং দিব্যেন্দু চক্রবর্তী (৮১)। ৮৫ ওভারে ইস্টবেঙ্গল ৪৫১-৮। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ভূকৈলাস ৩৩৭-৫। সেঞ্চুরি করেছেন আমির হুসেন (১৩৫) এবং আদিল বাকার (১২৪ ন.আ.)। মোহনবাগান বোলারদের মধ্যে সফল অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা (৩-৩৭)। অন্য ম্যাচে আনন্দবাজারের বিরুদ্ধে ১৯৬ রানে অল আউট ঐক্য সম্মিলনী। চার উইকেট মিথিলেশ্বর কামাটের। ডালহৌসি অ্যাথলেটিকের বিরুদ্ধে ৪১৭-৬ ওয়াইএমসিএ। সেঞ্চুরি ঈশ্বরন অভিমন্যু (১০৬) ও সুমন্ত গুপ্ত (১৪৮)।
|
বিতর্কিত পেনাল্টিতে বিএনআরকে ২-১ হারিয়ে কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলকে তাড়া করল মহমেডান। পেনাল্টিতে পিছিয়ে মহমেডানকে জেতালেন দুই বিদেশি অ্যালফ্রেড ও স্ট্যানলি। কিন্তু মহমেডানের জয়ের পেনাল্টি গোল একেবারে স্পষ্ট ডাইভিং থেকে পাওয়া। ম্যাচ শেষে রেল ফুটবলাররা বলাবলি করতে করতে গেলেন, “লিগ জমানোর জন্যই পেনাল্টি।” পেনাল্টির আগে লাল কার্ডের জন্য রেল দশ জনে হয়ে যায়। তা সংশয়াতীত। মহমেডানের প্রাধান্য নিয়ে যেমন সংশয় নেই। লিগে ইস্টবেঙ্গল ৮ ম্যাচে ১৮। মহমেডান ৭ ম্যাচে ১৪। বাকি ম্যাচ জিতলে মহমেডানের লিগ জেতার সম্ভাবনা রইল। কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “বলা কঠিন। অ্যালফ্রেডকে পেয়ে ভাল খেলছে দল।” প্রতিপক্ষকে মাপতে ট্রেভর মর্গ্যানের সহকারী রঞ্জন চৌধুরী এসেছিলেন। তাঁর কথায় স্পষ্ট, মহমেডানের দুই বিদেশি ফরোয়ার্ডকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। মহমেডান কর্তারা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে বিদেশি রেফারির দাবি তুলছেন। কিন্তু আই এফ এ-র সৌজন্যে তো কলকাতা লিগ আবার এখন বন্ধ। মহমেডান দিল্লি যাচ্ছে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন খেলতে।
|
জেলা ক্রীড়া সংস্থা নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলা স্কুল ক্রীড়াসংস্থা ভেঙে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র জানিয়েছেন, “দুটোই জেলা সংস্থা বলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কোনও ডি এস এ ভাঙা হয়নি। স্কুলের খেলাধুলো চালায় যে সংস্থা তাই ভাঙা হয়েছে।”
|
অ্যাথলেটিক কোচেস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-এর পরিচালনায় আন্তঃ স্কুল অ্যাথলেটিক মিট যুবভারতীতে ১৯-২০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে।
|
বারাসত ইউনাইটেডকে হারিয়ে গঙ্গামোটরস কাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন নিউ বাণী সঙ্ঘ। টুর্নামেন্টের সেরা পাঁচ সোনু হাজরা, রাকেশ বিশ্বাস, সুমন্ত ঘোষ, অভি হালদার এবং বাপন হাজরা। |