টুকরো খবর |
রুশদির আসা নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সলমন রুশদি যদি ভারতে আসেন, তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রাজস্থান এবং দিল্লি পুলিশকে তৈরি থাকতে বলল কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে যদি রুশদি ভারতে আসেন, কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষোভ হতে পারে। তাই যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী রাখা এবং সতর্ক থাকার জন্য পুলিশকে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। মন্ত্রকের এই পরামর্শ থেকে মনে করা হচ্ছে, জয়পুর সাহিত্য উৎসব উদ্বোধনের দিন রুশদি না এলেও পরে আসতে পারেন।
সাহিত্য উৎসবের আয়োজকরা অবশ্য ধোঁয়াশা রেখেই দিয়েছেন। উৎসবের কর্তা সঞ্জয় রায় ইতিমধ্যেই বলেছেন, “কর্মসূচিতে বদলের ফলে রুশদি ২০ তারিখ আসছেন না। তবে আমাদের আমন্ত্রণ বহাল থাকছে।” পাঁচ দিনের উৎসবের যে সংশোধিত কর্মসূচি এ দিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বক্তাদের তালিকায় রুশদির নাম আছে ঠিকই। যদিও তিনি ঠিক কোন আলোচনাচক্রে বা কখন বলবেন, তার কোনও উল্লেখ সূচিতে নেই।
ধর্মীয় সংগঠন দার উল উলুমের তীব্র বিরোধিতার ফলে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখকের ভারতে আসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তার উপর গত কাল রাজস্থানের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে আসেন, রুশদি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় তাঁর ভারতে আসা আটকানো যায় না। কিন্তু জনগণের আবেগের বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। উদ্যোক্তাদেরও কার্যত সতর্ক করেন তিনি। তার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই ‘পরামর্শে’ অবশ্য অনেকেই আশার আলো দেখতে চাইছেন।
|
প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা সেনাপ্রধানের, গরহাজির অন্য বৈঠকে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সেনাপ্রধান বিজয় কুমার সিংহের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ অ্যাখ্যা দিল কেন্দ্র। বয়স নিয়ে বিতর্কে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সেনাপ্রধান। বুধবার সেনাপ্রধানের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত। এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই মামলা নিয়ে বুধবার প্রথম মুখ খুলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিমন্ত্রী এম এম পাল্লাম রাজুর বক্তব্য, “এই ঘটনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সামরিক বাহিনী, কোনও পক্ষের কাছেই শুভ নয়।” তাঁর মতে, বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে বিতর্ক না হওয়াই ভাল। প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করলেও সব সরকারি আলোচনায় হাজির হননি ভি কে সিংহ। নেপালের উপ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। বিজয় কুমার সিংহের বদলে তাতে হাজিরা দেন উপ সেনাপ্রধান শ্রীকৃষ্ণ সিংহ। কেন্দ্র সেনাপ্রধানকে ‘ছুটিতে’ যেতে বলতে পারে বলে আগে সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ অফিসাররা জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। এই মামলাকে সেনাপ্রধান ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত হিসেবে দেখা উচিত নয় বলে মনে করেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অনিল যশবন্ত টিপনিস। একটি টি ভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিপনিস বলেছেন, “ এই বিতর্ক এক জনের ব্যক্তিগত সমস্যা। এই ঘটনায় জেনারেল বিজয় কুমার সিংহের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” তবে সেনাবাহিনীর মনোবলে এই বিতর্কের কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি। কারণ, সেনাপ্রধান স্বাভাবিক ভাবেই নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতে, এই বিতর্কে ঘরে-বাইরের শত্রুরা খুশি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উচিত সমস্যা এখনই মিটিয়ে ফেলা।
|
নির্বাচনে লড়বেন উমা, ঘোষণা খোদ গডকড়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী কে, সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হয়নি বটে। আজ নিতিন গডকড়ী জানিয়ে দিলেন, উত্তরপ্রদেশে ভোটে লড়বেন উমা ভারতী। কলরাজ মিশ্র, সূর্যপ্রতাপ শাহীর মতো নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর দৌড়ে থাকলেও গডকড়ীকে দিয়ে নাম ঘোষণা করিয়ে এ ভাবেই নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে নিলেন উমা। উমা শিবির মনে করছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও উত্তরপ্রদেশে উমাই দলের ‘মুখ’ হলেন। উমার সঙ্গে বৈঠকের পর আজ রাতে গডকড়ী ঘোষণা করেন, উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড এলাকার চারখারি কেন্দ্র থেকে লড়বেন এই নেত্রী। গত নির্বাচনে মায়াবতীর দল এই আসনটি দখল করেছিল। উমা এই আসন থেকে জিতে আসবেন বলেও গডকড়ী আশা প্রকাশ করেন। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো অনেক নেতা গোড়া থেকে চাইছিলেন, উমা ভারতীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করে ভোট লড়ুক বিজেপি। কিন্তু শুধু রাজ্য স্তর নয়, কেন্দ্রীয় স্তরের অনেক নেতার তাতে আপত্তি ছিল। দলের ভিতরে পরিস্থিতি সামাল দিতে উমাকে তাই এখনই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলেন না, কিন্তু নিজে উমার নাম ঘোষণা করে তাঁকে বাড়তি গুরুত্ব দিলেন গডকড়ী। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তা হলে কে হবেন? গডকড়ী বলেন, “দল সামগ্রিক নেতৃত্বে লড়বে উত্তরপ্রদেশে। উমা ভারতী দলের তারকা প্রচারক। ভোটের পর বিধায়করাই দলের নেতা নির্বাচন করবেন।” এর আগে কলরাজ মিশ্রের নাম পৃথক ভাবে ঘোষণা করা হয়নি। অন্য সকলের সঙ্গে তাঁর নাম তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর নাম স্বয়ং গডকড়ী ঘোষণা করায় সন্তুষ্ট উমাও। তিনি বলেন, “দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, আমি তা পালন করব।” উমা ভারতীর ঘনিষ্ঠ এক নেতার মতে, ক’দিন আগে লখনউতে দলের যে ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করেছেন গডকড়ী, তাতেও রাজ্যের নেতাদের তালিকায় সবার আগে উমার নাম রাখা হয়েছে। যদি বিজেপি ক্ষমতা দখলের জায়গায় আসে, নেত্রী হওয়ার দৌড়ে সবার আগে এগিয়ে গেলেন উমা।
|
মায়াবতীর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন কুরেশি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মায়া-মূর্তি বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল নির্বাচন কমিশন। তামাম উত্তরপ্রদেশ জুড়ে মায়াবতী ও তাঁর নির্বাচনী প্রতীক হাতির মূর্তি ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি মোটেই ভাল ভাবে নেননি মায়াবতী। নির্বাচন কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে চিহ্নিত করে কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনেই এই কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি। আজ মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “মায়াবতীর মতো বর্ষীয়ান নেতার এ ভাবে কথা বলা উচিত নয়। কিছু বলার আগে একটু ভাবনা-চিন্তা করে নেওয়া উচিত।” কমিশনের মতে, সমস্ত নির্বাচনেই এই ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে লখনউ-এর গোমতী নগরে মায়াবতীর দু’টি মূর্তি, ১৫৬টি হাতি এবং নয়ডায় ৫২টি হাতি ও মায়াবতীর দু’টি মূর্তি ঢেকে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মায়াবতী অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ কুরেশি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত না নিলে আগামী দিনে যে কোনও দল সরকারি উদ্যানে নিজের দলের প্রতীক বসানোর জন্য দাবি জানাতে পারে। কমিশনের লক্ষ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। যাতে সব ক’টি দল সমান ভাবে প্রচার করা ও নির্বাচনে লড়ার সুযোগ পায়।” নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরে সর্বদাই সরকারি দফতর থেকে শাসক দলের নেতাদের ছবি খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। কুরেশির কথায়, “কমিশন সরকারি দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি খোলারও নির্দেশ দেয়। যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে ছবি ঢেকে দিতে বলা হয়।”
|
জাতীয় ছুটি হোক ২৩শে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লিখেছেন, নেতাজিকে দেশের ‘সর্বোচ্চ সম্মান’ দেওয়ার অনুরোধ তিনি রেলমন্ত্রী হিসাবে আগেই জানিয়েছিলেন। চলতি বছর থেকেই কেন্দ্র অন্তত নেতাজির জন্মদিনটিতে ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণা করুক। নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বাম দাবি মনমোহন-সরকার এখনও মেনে নেয়নি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
বামফ্রন্ট সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উদ্যোগে নেতাজির জন্মদিন যথোচিত মর্যাদায় পালন করা হবে বলে মঙ্গলবারই ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষকে জানান তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব। তার প্রেক্ষিতেই বিমানবাবু চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের আর্জি রাখেন। জবাবি চিঠিতেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন। অশোকবাবু এ দিন বলেছেন, “ওঁর (মমতার) দলের শ্রেণি চরিত্র এখনও পরিষ্কার নয়। অনেক কাজ দেখে মনে হচ্ছে, ওঁরা বুঝি বামপন্থী! আবার অনেক কাজে ভুলভ্রান্তি হচ্ছে। শ্রেণি চরিত্র বোঝার আগে এই নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।” মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা নিয়ে ফ ব নেতারা এখনও বিভ্রান্ত। তবে অশোকবাবু বলেন, “ধরে নিচ্ছি, গত বছর বামফ্রন্ট সরকারের মতো এ বার কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সরকারও এই দিনটি পালন করবে।”
|
উঃ-পূর্বে জঙ্গি দাপট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পুলিশের চর সন্দেহে দুই গারো যুবককে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব গারো হিল জেলার কোঞ্চিকল গ্রামে। পুলিশ জানায়, পাক মোমিন (২৬) ও ইংতি মারাক (২৭) নামে দুই যুবককে বেশ কিছুদিন ধরেই খুঁজছিল জিএনএলএ। জঙ্গি সংগঠনের নাম করে দু’জনের বিরুদ্ধে তোলা তোলার অভিযোগ আছে। কিন্তু সম্প্রতি জঙ্গিদের সন্দেহ হয়, তাদের গতিবিধি নিয়ে পাক ও ইংতি পুলিশকে নিয়ম করে খবর পাঠাচ্ছে। কাল রেসুবেলপাড়ার রংগ্রং গ্রামে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ দেখে গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। মৃতদেহের কাছে জিএনএলএ-র একটি চিঠি মেলে। তাতে লেখা, “জিএনএলএ-এর নাম করে তোলাবাজি চালালে এমনটাই হবে।” অন্য দিকে, মণিপুরে কংগ্রেস-বিরোধী যৌথ জঙ্গি মঞ্চ, কংগ্রেস বিধায়ক ডি ডি থাইশির দুই সহকর্মীকে অপহরণ করেছে। থৈ ও লামখাই নামে ওই দুই কর্মীকে গত রাতে কারং এলাকা থেকে জঙ্গিরা তুলে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের উপরে গ্রেনেড আক্রমণও অব্যহত। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছে জঙ্গিরা। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথেই।
|
বার্ড-ফ্লু, পক্ষী নিধন শুরু ময়ূরভঞ্জে |
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
খুরদা জেলার পর আদিবাসী অধ্যুষিত ময়ূরভঞ্জে এবার শুরু হল বার্ড-ফ্লু আক্রাম্ত পাখিদের নিধন পর্ব। আপাতত বেতানাটি ব্লকের অধীনে বহনদা গ্রামের ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে এই প্রক্রিয়া চলছে। মৎস ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের এক অফিসার এই কথা জানিয়েছেন। প্রথম পর্বে আক্রান্ত ৩১ টি গ্রামের মধ্যে থেকে ৪ টি কে বেছে নেওয়া হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে প্রায় চার দিন। ওই অফিসার জানিয়েছেন গ্রামগুলিতে হাঁস ও অনান্য পাখি ছাড়াও ৫ হাজার মুরগি রয়েছে। তবে এই অঞ্চলে কোনও পোলট্রি নেই। আক্রান্তদের বেশিরভাগই স্থানীয় পাখি। এদের মধ্যে কিছু দুর্লভ প্রজাতির পাখিও রয়েছে। জেলা অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে দশটি দল এই নিধন কাজে যুক্ত। মেরে ফেলার পর পাখিদের গর্তের মধ্যে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। এবং পুরো প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হয়েছে বলে এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কটক থেকে রাঁচি পাঠানোর পথে ১৬০০ ব্রয়লার মুরগি আটক করে তাদেরও মেরে ফেলা হয়েছে। এই অঞ্চলের পাখিদের দেহে বার্ড ফ্লু’র ভাইরাস মিলবার পর থেকেই প্রশাসন পোলট্রিজাত দ্রব্য রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে।
|
আইনজীবী খুন, পথ অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
আদালতে যাওয়ার পথে এক আইনজীবীকে গুলি করে হত্যা করা হল। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার গোপালপুর থানা এলাকায়। রাজেশ গিরি (৪০) নামে ওই আইনজীবীর খুনের ঘটনায় জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা।পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাজেশবাবু মোটরসাইকেলে তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে কাটিয়া থানা এলাকার ভগবানপুরের বাড়ি থেকে জেলা আদালতে আসছিলেন। আহিরৌলি সেতুর কাছে দু’টি মোটারসাইকেলে সওয়ারি দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই আইনজীবী। ঘটনার খবর যায় আদালতে। মৃতদেহ নিয়ে আইনজীবীরা পথ অবরোধ করেন। পুলিশ সুপার কে এস অনুপমের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। জেলাশাসকের কাছে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “পারিবারিক কোনও কারণে এই খুন হয়ে থাকতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে এই পরিবারে জমি সংক্রান্ত একটি ঝামেলা রয়েছে। তদন্তে সমস্ত দিকই আমরা খতিয়ে দেখব।”
|
পরিচয়পত্র চাই শীতাতপ কামরায় |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
এ বার থেকে রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার যাত্রীদের সচিত্র পরিচয়পত্র রাখা বাধ্যতামূলক। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশে নয়া নিয়ম চালু হবে বলে রেল সূত্রের খবর। এতদিন তৎকাল বা ই-টিকিটের যাত্রীদেরই পরিচয়পত্র রাখতে হত। ক্রমে বেড়ে চলা টিকিটের কালোবাজারি রুখতেই এই নিয়ম। এ ক্ষেত্রে সঙ্গে ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, স্কুল বা কলেজের সচিত্র কার্ড, আধার কার্ড, এমনকী আরটিও অনুমোদিত ড্রাইভিং লাইসেন্স, ল্যামিনেটেড ফোটো-সহ ক্রেডিট কার্ড, সরকারি ব্যাঙ্কের সচিত্র পাসবইয়ের যে কোনও একটি রাখতে হবে।
|
সিকিমে ফের মৃদু ভূমিকম্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ও তার আশপাশের এলাকা। বুধবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ওই কম্পনের তীব্রতা বেশি না হলেও আতঙ্কে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “ভূকম্পের উৎসস্থল গ্যাংটক থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.৪।” গত সেপ্টেম্বরে সিকিমে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর পরে মাঝে-মাঝেই মৃদু ভূমিকম্প হচ্ছে।
|
জঙ্গিদের হাতে হত দুই জওয়ান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সোমবার চূড়াচাঁদপুরের মায়ানমার সীমান্তে, জঙ্গি ও আসাম রাইফেল্স-এর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ান মারা যান, জখম হন দু’জন। জঙ্গিমঞ্চ জানিয়েছে, তারাই জওয়ানদের আক্রমণ করেছিল। জৌখাম গ্রামের কাছে জওয়ানদের কাবু করে জঙ্গিরা দু’টি একে রাইফেল-সহ বেশ কিছু সামগ্রী লুঠ করে।
|
দুর্ঘটনায় মৃত ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রৌরকেলা |
গত কাল রাতে সুন্দরগড় জেলায় দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিন জন। লাঠিকাটা-বালানি রাস্তায় এক সেতুর রেলিংয়ে গত রাতে এক মোটরবাইক ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় দুই আরোহীর। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে বিসরায়। সেখানে রাস্তার পাশে গর্তে স্কুটার উল্টে মারা গিয়েছেন অপর এক ব্যক্তি।
|
জাতীয় সাহসিকতার পুরস্কার |
|
ছবি: রাজেশ কুমার |
ডুবন্ত বোনেদের বাঁচাতে গিয়ে মারা গিয়েছিল ১২ বছরের সৌধিতা বর্মন। এই সাহসিকতার জন্য কোচবিহারের সিতাইহাট গ্রামের মেয়েটিকে জাতীয় সাহসিকতার পুরস্কার (মরণোত্তর) দিচ্ছে কেন্দ্র। সৌধিতার হয়ে তার বাবা-মা, গৌতম ও সারথি বর্মন দিল্লিতে পুরস্কার নিতে এসেছেন। সারথি দেবী জানান, খেলতে গিয়ে বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে পড়ে যায় সৌধিতার খুড়তুতো বোন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে সৌধিতার ছোট বোন অরিঞ্জিতা ও আর এক খুড়তুতো বোনও জলে পড়ে যায়। সাঁতার না জানলেও সৌধিতা পুকুরের ধারে গিয়ে সবাইকে টেনে তোলে। কিন্তু শেষে নিজেই জলে পড়ে ডুবে যায় সে। |
|