টুকরো খবর |
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ১৫০০ কোটির প্রকল্পে ছাড়পত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বছরে ৫ হাজারের বেশি শিশু জন্মায় রাজ্যের এমন ১১টি হাসপাতালে ৮ তলা মা ও শিশু পরিষেবা কেন্দ্র তৈরি করতে চায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও তারা একই রকম কেন্দ্র গড়তে আগ্রহী। সেই সঙ্গে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালকে। কিন্তু এই সব কিছুর জন্য দরকার জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অর্থ। তার প্রথম ধাপ হিসাবেই মঙ্গলবার মহাকরণে চতুর্থ রাজ্য হেলথ মিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা তাঁদের প্রকল্পের রূপরেখা পেশ করেন। আগামী আর্থিক বর্ষের জন্য মোট ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পে প্রাথমিক ছাড়পত্রও মিলে যায় এ দিনই। ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ মিশনের অন্য সদস্যেরা পরিকল্পনায় সবুজ সঙ্কেত দেন। এর পর অর্থ মঞ্জুরের জন্য এ’টি কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন না। ছিলেন নতুন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০১১-১২ সালে কেন্দ্রের দেওয়া টাকার মাত্র ৫৭ শতাংশ রাজ্য খরচ করতে পেরেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সাব সেন্টার নির্মাণের কাজ অনেক বাকি। তা হলে নতুন করে কেন কেন্দ্র ১৫০০ কোটি টাকা দেবে? রাজ্যে এনআরএইচএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাড়িঘর তৈরি শেষ না হলে সেই টাকা কেন্দ্র আটকে দেবে। কিন্তু বাকি কাজের টাকা পেয়ে যাব বলে আমরা আশাবাদী।” এ দিন বৈঠকের পর দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ জানান, প্রসূতিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার যানের জন্য কেন্দ্র টাকা দিলেও সেই গাড়ি সব সময় মিলছে না। আরও জানান, কয়েক মাস হল ‘টোল ফ্রি’ নম্বরে ফোন করে গাড়ি ডাকিয়ে আনার প্রকল্প শুরু হয়েছে। কিন্তু এর পর্যাপ্ত প্রচার নেই।
|
হাসপাতালে ফের ‘দুর্ব্যবহার’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিশুমৃত্যুর পরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার, বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের পাঁচ মাসের তমাল অধিকারীকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। সে সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু এ দিন সকাল থেকে বেশি অসুস্থ হয়ে দুপুরে মারা যায় সে। পরিজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর খবর অনেক পরে জানানো হয়েছে। তমালের অবস্থা জানতে চাইলে চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁদের অপমান করে ওয়ার্ড থেকে বার করে দেন। হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
সচেতনতায় উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থ্যালাসেমিয়া সেবা কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে রোগ চিহ্নিত করতে সচেতনতা প্রচারে শিলিগুড়িতে শিবির করবে শিলিগুড়ি থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন সোসাইটির কর্মকর্তারা। মে-জুন মাসে শিবির হবে। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১৬ দিন প্রচারে বাইক র্যালি হয়। র্যালি উত্তরবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সচেতনতামূলক প্রচার করে। থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর বণিক বলেন, “বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রকোপ বেশি। তাই আমাদের প্রচারকে তাঁরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।” বাংলাদেশের ‘প্রচ্ছদ’ এবং শিলিগুড়ির ‘থট এরিনা’ নাট্য গোষ্ঠী থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সাহায্যার্থে নাটক মঞ্চস্থ করবেন। সংগঠনের দাবি, থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলায় ১৭৬জন, কোচবিহারে ১৫৬, দুই দিনাজপুরে ২০০, দার্জিলিঙে অন্তত ১২ জন, শিলিগুড়িতে ১১২জন।
|
হাসপাতালে প্রতিনিধি দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
ফালাকাটা হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা ও দীর্ঘ দিন ধরে এক্স রে পরিষেবা বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে ফালাকাটা গ্রামীণ হাসপাতালে আচমকা পরিদর্শনে আসেন কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ পাঁচজনের এক প্রতিনিধি দল। ওই দলের প্রতিনিধিরা হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শনের পাশাপাশি রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করেন। হাসপাতাল ঘুরে দেখতে গিয়ে নোংরা আবর্জনা চোখে পড়ায় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের কয়েকজন সদস্য। হাসপাতালে এক্স রে পরিষেবা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় রোগীরা বাইরে থেকে বেশি টাকা খরচ করে এক্স রে করাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে কমিটির সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেন। পরিষেবা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানান তাঁরা।
|
হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন চন্দ্রিমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২০ জানুয়ারির পর থেকেই কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা শুরু করবেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবার শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে প্রথমবার মন্ত্রী হিসাবে যান তিনি। সেখানেই জানান, অনেকটা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আচমকা বিভিন্ন হাসপাতালে তিনি অভিযান চালাবেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর অনুমোদিত পদেও বামফ্রন্ট কোনও নিয়োগ করেনি। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।” মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলির চাপ কমানোর লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করবেন। কলকাতার আশপাশের যে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে সেগুলির পরিষেবা উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
|
মারধরে ধৃত |
ময়নাগুড়ি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে এক যুবককে ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল পাড়া থেকে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রুদ্র গুহ। রবিবার রাতে হাসপাতালের কর্মী স্বপন দাস এবং অ্যাম্বুল্যান্স চালক উৎপল মণ্ডলের উপরে হামলা চালান। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হাসপাতালের কর্মী ও চালকরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দেন। বাসিন্দারা হামলার নিন্দা করে বিক্ষোভ সভা করেন।
|
স্বাস্থ্যকর্মী সম্মেলন |
‘পরিকল্পিত ভাবে সরকারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাকে হেয় করার চেষ্টা করছেন কিছু কর্মী’। এর প্রতিবাদ জানিয়েই ‘স্টেট হেলথ্ এম্পলয়িজ অ্যাসোসিয়েশনে’র হলদিয়া মহকুমা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সভাগৃহে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আনন্দ অধিকারী, সংগঠনের সম্পাদক সত্য সাহু, তৃণমূল নেতা রথীন মান্না প্রমুখ। |
|