অভিযোগের উপর আইনের ধারা হয়, মত ‘আইনজীবী’ স্পিকারের |
কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তার উপরে এ বার মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুরে মঙ্গলবার পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বারুইপুর (পশ্চিম) কেন্দ্রের বিধায়ক বিমানবাবু কোনও ঘটনার উল্লেখ না-করেই বলেন, “সংবাদপত্রে এখন আইনের ধারা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমি আইনজীবী হিসেবেই বলছি, পুলিশের কাছে এফআইআর-এর উপরেই আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়। অনেক সাংবাদিক রয়েছেন, যখন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়, তখন তাঁরা আমাদের অনুরোধ করেন তাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়ে মামলা লড়ার জন্য। তাঁদের বলছি, এ বার থেকে আপনাদের মামলা আপনারাই লড়ুন!” পরে যোগাযোগ করা হলে বিমানবাবু বলেন, আইনজীবী হিসাবে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুধু। ‘রাজনৈতিক’ কোনও বক্তব্য তাঁর ছিল না। আইনজীবী বিমানবাবুর ব্যাখ্যা, অভিযোগ যে ধরনের হয়, তার ভিত্তিতেই আইনের ধারা প্রয়োগ করা হয়। অভিযোগের ধরন কতটা ‘গুরুতর’, তার সাপেক্ষেই জামিনযোগ্য বা জামিন-অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়। কাজেই গোটা বিষয়টি অভিযোগের ধরনের উপরে নির্ভরশীল।
|
চাষিদের আত্মহত্যা ‘ম্যান মেড’: কারাট |
বাম আমলে ২০০০ সালে দক্ষিণবঙ্গের বন্যাকে ‘ম্যান মেড’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি ছিল, হঠাৎ করে বাঁধের জল ছেড়ে দিয়ে ওই বন্যা ‘ঘটিয়েছিল’ তৎকালীন ফ্রন্ট সরকার। রাজ্য সরকার এবং সিপিএম অবশ্য মমতার মন্তব্যের প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এ বার মমতার জমানায় চাষিদের আত্মহত্যার প্রসঙ্গে সেই ‘ম্যান মেড’ কথাটিই টেনে আনলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিধাননগরে এক আলোচনাসভায় কারাট বলেন, “এ রাজ্যেও কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। নতুন সরকার আসার পরে ২১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কৃষকদের এই আত্মহত্যা ‘ম্যান মেড’। কারণ, ‘ম্যান মেড পলিসি’র জন্যই কৃষকেরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। গোটা দেশেই একই ঘটনা ঘটছে।” কারাটের দাবি, বামফ্রন্ট সরকারের সময় কৃষককে অভাবের কারণে আত্মহত্যা করতে হয়নি। |