পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারুইপুরের পাঁচঘরায় মঙ্গলবার সরকারি পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ভোট বাড়ানোর জন্যই সিপিএম দাঙ্গার উস্কানি দিচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিপিএম নেতা তথা দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন, আমি নিজের কানে শুনিনি। তবে কোনও এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই সব কথা বলেছেন বলে শুনেছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তিনি তা প্রকাশ করুন। এক জন মুখ্যমন্ত্রী এই রকম কথা যে বলতে পারেন, তা জেনে আমি স্তম্ভিত।” সুজনবাবু আরও বলেন, “এই রাজ্য কেন, এ দেশের কোনও রাজনৈতিক দলই আমাদের সম্পর্কে এই রকম প্রশ্ন তুলতে পারবে না। আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ওঁর আরও সচেতন হয়ে কথা বলা উচিত।” |
গঙ্গাসাগর মেলা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “১২ লক্ষ লোক এল। নির্বিঘ্নে স্নান শেষ করে বেরিয়ে চলে গেল। কই, সেগুলো তো চোখে পড়ে না! বসে বসে শুধু সমালোচনা?” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “বারুইপুরে পলিটেকনিক কলেজ হচ্ছে। আরও ৪-৫টা পলিটেকনিক কলেজ, আইটিআই হবে। আমি যা বলি, তাই করি। যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন বলেছিলাম ক্যানিংয়ে স্টেডিয়াম তৈরি করে দেব। স্টেডিয়ামের জন্য জমি দেখার কাজ প্রায় শেষ। বারুইপুরের উড়ালপুল তাড়াতাড়ি তৈরি হবে। তার কাজও শেষের পথে। কামালগাজিতেও আর একটা উড়ালপুল হবে। বারুইপুরেও একটা স্টেডিয়াম তৈরি করে দেব। সোনারপুরে রেলের পক্ষ থেকে একটা স্টেডিয়াম বানানোর কথা রয়েছে। রেল না করলে, আমিই করে দেব।”
এ দিন সিপিএম নেতাদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “চুরি আর দুর্নীতি ছাড়া তো আর কিছুই করেননি। আমরা সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করি। আমাদের কাছে কিছু নেই। টাকা নেই, পরিকাঠামো নেই। তা-ও আমরা কাজ করি। আমার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নেবেন না। যা বলি, তাই করি। খালি হাতে এসেছি। খালি হাতে চলে যাব। কাউকে পরোয়া করি না।” |