জলসা-কাণ্ডে তিন জনকে খুনের ঘটনায় জেলা যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক রাকেশ আলির বিরুদ্ধেও এ বার অভিযোগ দায়ের হল। রাকেশের অবশ্য এই দিনও কোনও খোঁজ মেলেনি। রবিবার রানাঘাটের টাউন আউটডোর হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানে একটি স্থানীয় পত্রিকার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত জলসায় রাকেশ ছিলেন মঞ্চে। সেখানেই রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী জলসার মধ্যেই ঢুকে পড়ে তিন জনকে খুন করে পালায়। সেই ঘটনায় ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে, ওই দিন সেই সময়ে রাকেশকেও খুনের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তারপর মঙ্গলবার রাকেশের বিরুদ্ধেও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হল। রানাঘাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আজহার এ তৌসিফ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ওই ঘটনায় দু’টি এফআইআর হয়েছিল। তাতে ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাকেশ আলির বিরুদ্ধেও এই দিন অভিযোগ হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” রবিবার রাত থেকেই রাকেশের কোনও খোঁজ নেই। তৃণমূল নেতা গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো বিষয়টাই সমাজবিরোধীদের লড়াই। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। জোর করে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
জলসা কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন রানাঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের সদস্য আনন্দ দে-ও। আনন্দবাবু রানাঘাট ২ ব্লক কংগ্রেসের সম্পাদকও। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য দুলাল পাত্র বলেন, “শহরের মানুষ এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত। তাঁরা প্রশাসনের উপরে ভরসা রাখতে পারছেন না। সামনের বৃহস্পতিবার বিকেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে এবং মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে কংগ্রেস মিছিল করবে।” রানাঘাটের ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের সদস্য শান্তনু রায়ও বলেন, “এই রকমের ঘটনা খুবই অনভিপ্রেত। এই সব ঘটতে থাকলে লোকে ভয় পেয়ে যান। তার প্রভাব পড়ে ব্যবসার উপরে। সন্ধ্যার পরে লোক আসতে ভয় পান।” তবে এই দিন শহরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। রানাঘাট মহকুমা শাসক সুমনকুমার ঘোষ বলেন, “ঘটনার দিন রাতে আতঙ্ক থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।” তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক ও রানাঘাটের পুরপ্রধান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।” |