ধুবুলিয়ার তিতলি ও কাব্যকথা আয়োজিত একটি বিতর্ক সভা গত শনিবার ধুবুলিয়া সাধারণ পাঠাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবিতার ক্ষতি করছেন আবৃত্তি শিল্পীরাবিতর্কের এই বিষয়কে ঘিরে শনিবার দুপুরে কবি ও আবৃত্তিকারদের মধ্যে তুনুল বিতর্ক বেধে যায়। বিষয়ের পক্ষে কবি দেবদাস আচার্য, প্রাণেশ সরকার এবং সঞ্জীব প্রামাণিক বক্তব্য রাখেন। বিপক্ষে বলেন, দেবাশিস বসু, পীতম ভট্টাচার্য এবং রামকৃষ্ণ দে। কবিদের পক্ষে কোনও এক কবি বলেন, ‘‘বাচিক শিল্প কোনও শিল্পই নয়, এটা কবিতা নির্ভর এবং কবি-ই সেখানে প্রধান। আবৃত্তি শিল্পীরা জনপ্রিয় কবিতাগুলি বাছেন। ফলে আবৃত্তিকার আলাদা ভাবে কবিতাকে কোনও পর্যায়ে উন্নীত করতে পারেন না।’’ এক কবি বলেন, “বাংলায় ভাল কবিতা লেখা হলেও তার বদলে আবৃত্তিকাররা সস্তা, চটকদারি কবিতা আবৃত্তি করতে ভালবাসেন।” শিল্পীরা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, গানও কোনও শিল্প নয়। গানের কথা অনেক সময়ে লেখেন এক জন। সুর দেন অন্য জন। অথচ আলো পড়ে শিল্পীর মুখের উপরে। আবৃত্তি শিল্পীর কণ্ঠে কবিতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কবিরা সাধারণত আবৃত্তির আসরে যান না বলেই জানেন না, ভাল না মন্দ কবিতা সেখানে আবৃত্তি হচ্ছে!
|
গত ১২-১৫ জানুয়ারি বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে মুর্শিদাবাদ জেলা সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজিত হয়। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ব্লাইন্ড একাডেমির অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ মেলার সূচনা করেন। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে পথশিশু ও সাধারণ শিশুরা পরিবেশন করে নৃত্য, সঙ্গীত, মূকাভিনয়, আবৃত্তি। মেলার চারদিনই ছিল জারি গান, কবি গান, বাউল গান। সেই সঙ্গে মুসলিম বিয়ের গান, ব্যাঙের বিয়ের গান, ভাজৈ ব্রতের গান পরিবেশিত হয়েছে।
|
সংস্থার প্রাণপুরুষ প্রভাত রায়চৌধুরীর প্রয়াণে এক স্মরণসভার আয়োজন করে ‘বহরমপুর প্রবীণসভা’। গত ১৫ জানুয়ারি বহরমপুর পুরসভার পিছনে ধোপঘাটিতে প্রবীণসভার কার্যালয়ে ওই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত গত ৮ জানুয়ারি বহরমপুর ইন্দ্রপ্রস্থের বাড়িতে মারা যান প্রভাতবাবু। সংস্থার সম্পাদক অসিত চক্রবর্তী বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা বিজ্ঞান মঞ্চ, স্টুন্ডেন্টস হেলথ হোমের পাশাপাশি বহরমপুর প্রবীণসভা গড়ে তোলার পিছনে প্রভাতবাবুর যে অবদান তা ভোলার নয়।” এছাড়াও জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনে তাঁর বড় ভূমিকা রয়েছে। ওই স্মরণসভায় বহরমপুর নাগরিক কমিটি, বিজ্ঞান মঞ্চ, স্টুডেন্টস হেলথ হোম-সহ বহরমপুরের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা হাজির হয়ে কথায়-আড্ডায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওই শোক সভায় প্রবীণসভার ডে-কেয়ার সেন্টারের আবাসিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা চোখের জলে প্রভাতবাবুকে স্মরণ করেন।
|
কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ সংস্কৃতি মেলা। গত ৮-১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই মেলার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক মঞ্চ। সহযোগিতায় কৃষ্ণনগর পুরসভা। হস্তশিল্প-সহ বিভিন্ন স্টল ছাড়াও ছিল প্রতি দিন সন্ধ্যায় ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
|
বহরমপুরের ছান্দিক নাট্যগোষ্ঠী গত ১৪ জানুয়ারি কিশলয় সেনগুপ্ত স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে। এ বছর বিষয় ছিলআজকের রবীন্দ্র নাট্যচর্চা। বক্তা ছিলেন অর্পিতা ঘোষ। শক্তিনাথ ভট্টাচার্যের লেখা শ্রুতি নাটক ‘মাধুরীলতা’ পরিবেশিত হয়েছে।
|
নতুন বছরে ‘নিয়মিত থিয়েটার’ নামে প্রতি মাসে নাটক আয়োজনে উদ্যোগী হয়েছে বহরমপুরের ঋত্বিক নাট্যগোষ্ঠী। সূচনা হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি বহরমপুর রবীন্দ্রসদন মঞ্চে অভিনীত হয়েছে বাংলাদেশের থিয়েটার আর্ট ইউনিট-এর নাটক গোলাপজান। নাটকের কর্মশালাও চলছে।
|