আমাদের স্কুল

রামনগর অতুল বিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা ১৯১৭।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৬৫০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৯ জন।
পার্শ্বশিক্ষক ২ জন। করণিক ১ জন।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ১ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ৭২ জন।
সকলেই উত্তীর্ণ হয়।
প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী

পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের অভাবে সমস্যায় পড়ুয়ারা

স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষকদের সুসম্পর্কই মাথা উঁচু করে থাকার মূল ভিত্তি। অভাবে, আপদে-বিপদে সব সময় তাঁদের পাশে পাওয়া যায়। শাসন, মারধর উঠে যাওয়ার পর ছেলেরা অনেকেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। পরিচালন কমিটি, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে তা ক্রমশ সামলানো যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ১৯১৭ সালে স্থানীয় অতুল চন্দ্র বটব্যাল স্কুলটি খানাকুলে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৬ সালে এটি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয় শুধু বালকদের জন্য। উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয় ২০১০ সালে। দশম শ্রেণি অবধি শুধু বালকদের জন্য হলেও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে সহ-শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ তুলনামূলক ভাবে মজবুত। কলা বিভাগে সংস্কৃত না থাকায় ছাত্রছাত্রী কম।
স্কুলে অভাবের তালিকাটা বিরাট। ল্যাবরেটরিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট নেই। লাইব্রেরি নেই। কম্পিউটার কোর্সের আবেদন করে পাওয়া যায়নি। বেসরকারি ভাবে কম্পিউটার কোর্স চালু রেখেছি বটে, কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে তা ধুঁকছে। উচ্চ মাধ্যমিকের উপযুক্ত বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিও নেই। শিক্ষকেরা নিজেদের উদ্যোগে এক লক্ষ টাকা ঋণ করে তা গঠন করেছেন। সেই ঋণ শোধ করার চাপ আছে। স্কুলে এখনই যা প্রয়োজন, তা হল বাংলায় মাত্র একজন এম এ শিক্ষক আছেন। আরও একজন চাই। এ রকমই ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের অভাব। স্কুলের খেলার মাঠ নেই। সীমানা প্রাচীর খুব জরুরি। দুষ্কৃতীরা প্রায়ই সম্পত্তি নষ্ট করছে। কমনরুম নেই। স্টাফরুম খুব ছোট। ২১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এক সঙ্গে বসা মুশকিল। স্কুল মাধ্যমিক স্তর অবধি উন্নীত হওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত মোট তহবিল পাওয়া গেছে সর্বশিক্ষা থেকে দু’ বারে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার, সাংসদ তহবিল থেকে ৯ লক্ষ টাকা এবং বিধায়ক তহবিল থেকে দু’ দফায় আড়াই লক্ষ টাকার মতো। এই টাকা এতই অপ্রতুল যে গৃহনির্মাণের পরও অতীতের টিনের চালার ঘরই রাখতে হয়েছে। স্কুলের অসুবিধার বিষয়গুলি স্থানীয় বিডিও থেকে সংশ্লিষ্ট সব স্তরে জানিয়েছি।

আমার চোখে


তন্ময় কর্মকার

শিক্ষকদের আন্তরিকতা অনেক ঘাটতি পুষিয়ে দেয়। সব ছেলের প্রতি সমান ভাবে নজর দেন তাঁরা। বন্ধুর মতন আচরণ করেন। বাড়িতেও মাঝে মাঝে চলে যান কেমন পড়াশোনা করছি তার খোঁজ নিতে। খেলার মাঠ নেই, সাইকেল শেড ছোট, কম্পিউটার শিক্ষার অব্যবস্থা ইত্যাদির চেয়ে বড় অসুবিধা রাস্তার পাশেই স্কুলটি হওয়ায় বিভিন্ন গাড়ির হর্ন এবং বিকট আওয়াজে বড়ই অসুবিধা হয়। ইউনিট টেস্টগুলির জন্য আগের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। কিন্তু খেলার মাঠ যেহেতু নেই, ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থা যেমন কয়েকটি ক্যারাম বোর্ড থাকলে ভাল হয়। শিক্ষকদের শাসনটা একেবারেই না থাকায় কিছু ক্ষেত্রে খারাপ ফল হয়েছে ক্লাসে দুষ্টুমি হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.