রামনগর অতুল বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা ১৯১৭।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৬৫০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৯ জন।
পার্শ্বশিক্ষক ২ জন। করণিক ১ জন।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ১ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী ৭২ জন।
সকলেই উত্তীর্ণ হয়। |
|
স্কুলে অভাবের তালিকাটা বিরাট। ল্যাবরেটরিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট নেই। লাইব্রেরি নেই। কম্পিউটার কোর্সের আবেদন করে পাওয়া যায়নি। বেসরকারি ভাবে কম্পিউটার কোর্স চালু রেখেছি বটে, কিন্তু উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে তা ধুঁকছে। উচ্চ মাধ্যমিকের উপযুক্ত বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিও নেই। শিক্ষকেরা নিজেদের উদ্যোগে এক লক্ষ টাকা ঋণ করে তা গঠন করেছেন। সেই ঋণ শোধ করার চাপ আছে। স্কুলে এখনই যা প্রয়োজন, তা হল বাংলায় মাত্র একজন এম এ শিক্ষক আছেন। আরও একজন চাই। এ রকমই ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের অভাব। স্কুলের খেলার মাঠ নেই। সীমানা প্রাচীর খুব জরুরি। দুষ্কৃতীরা প্রায়ই সম্পত্তি নষ্ট করছে। কমনরুম নেই। স্টাফরুম খুব ছোট। ২১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এক সঙ্গে বসা মুশকিল। স্কুল মাধ্যমিক স্তর অবধি উন্নীত হওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত মোট তহবিল পাওয়া গেছে সর্বশিক্ষা থেকে দু’ বারে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার, সাংসদ তহবিল থেকে ৯ লক্ষ টাকা এবং বিধায়ক তহবিল থেকে দু’ দফায় আড়াই লক্ষ টাকার মতো। এই টাকা এতই অপ্রতুল যে গৃহনির্মাণের পরও অতীতের টিনের চালার ঘরই রাখতে হয়েছে। স্কুলের অসুবিধার বিষয়গুলি স্থানীয় বিডিও থেকে সংশ্লিষ্ট সব স্তরে জানিয়েছি।
|
শিক্ষকদের আন্তরিকতা অনেক ঘাটতি পুষিয়ে দেয়। সব ছেলের প্রতি সমান ভাবে নজর দেন তাঁরা। বন্ধুর মতন আচরণ করেন। বাড়িতেও মাঝে মাঝে চলে যান কেমন পড়াশোনা করছি তার খোঁজ নিতে। খেলার মাঠ নেই, সাইকেল শেড ছোট, কম্পিউটার শিক্ষার অব্যবস্থা ইত্যাদির চেয়ে বড় অসুবিধা রাস্তার পাশেই স্কুলটি হওয়ায় বিভিন্ন গাড়ির হর্ন এবং বিকট আওয়াজে বড়ই অসুবিধা হয়। ইউনিট টেস্টগুলির জন্য আগের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। কিন্তু খেলার মাঠ যেহেতু নেই, ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থা যেমন কয়েকটি ক্যারাম বোর্ড থাকলে ভাল হয়। শিক্ষকদের শাসনটা একেবারেই না থাকায় কিছু ক্ষেত্রে খারাপ ফল হয়েছে ক্লাসে দুষ্টুমি হচ্ছে। |