একই দিনে দুর্গাপুর ও আসানসোলে দু’টি ‘আইটি হাব’ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেখানে কোন কোন সংস্থা আসতে পারে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ঘটনাচক্রে, ২০১০ সালের নভেম্বরে দুর্গাপুরের পলাশডিহায় জাতীয় সড়কের পাশে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যুক্ত ‘আইটি পার্ক’-এর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার সেখানেই ‘আইটি হাব’-এর শিলান্যাস করেন পার্থবাবু। কী কারণে এই পরিবর্তন, তার সরাসরি জবাব অবশ্য মেলেনি। মন্ত্রী বলেন, “আগের সরকার অনেক কিছুই করেছিল। তার সঙ্গে আমরা একমত ছিলাম না। রাজ্যের জনগণও একমত ছিলেন না। তাই তাদের চলে যেতে হয়েছে। আগের সরকার কী করেছে সেটা আলোচ্য বিষয় নয়। আমরা কী করতে চাইছি তা নিয়েই ভাবতে চাই।” |
বিকেলে সানসোলের কল্যাণপুর স্যাটেলাইট টাউনশিপ ইনস্টিটিউশন্যাল জোনেও আইটি হাবের উদ্বোধন হয়। তার জন্য সেখানে ৬ একর জায়গা নেওয়া হয়েছে। ৫০ হাজার বর্গফুট জুড়ে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ হওয়ার কথা। মন্ত্রীর দাবি, ওই ‘হাব’ চালু হলে ১০ হাজার জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে আরও ২০ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি একটি শিল্পতালুকও বানানো হবে। তার জন্য আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগীদের জন্য ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ খোলা হবে। আসানসোলে একটি হেলিপ্যাড চালু করতেও সরকার সচেষ্ট বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন।
দুর্গাপুরে ইতিমধ্যেই ২.২১ একর জায়গা জুড়ে তৈরি পার্কে রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেলের ৫০ হাজার বর্গফুটের ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। ২৪ ঘন্টা তথ্য যুক্তির কাজ চালানোর মতো পরিকাঠামো রয়েছে তাতে। কম পুঁজির সংস্থাগুলি যাতে কাজ শুরু করতে সমস্যায় না পড়ে তারও ব্যবস্থা রয়েছে। পার্থবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে জেলায় নিয়ে যেতে হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে।” সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শীঘ্র তিনটি সংস্থা সেখানে কাজ শুরু করবে আশা করা হচ্ছে।
পার্থবাবু বলেন, “আগের সরকার ৩৪ বছরে ৪৭১০টি শিল্পের অনুমোদন দিয়েছিল। সম্পূর্ণ করেছিল ৮৩৩টি। আমরা তা করব না। যে প্রকল্পের শিলান্যাস হবে তা স্থাপনও করা হবে।” বছর দুয়েকের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। বাসুদেববাবু জানান, রাজ্য সরকার ই-গভর্নেন্সের পাশাপাশি মানুষের কাছে সরকারি তথ্য জানাতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের শুরু করার চেষ্টা করছে। |