|
|
|
|
শরিক দলে সমালোচনা সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে একটিও আসন জিততে না-পারায় নাম না করে সিপিএমকে ‘জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত দল’ বলে কটাক্ষ করল ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব সংগঠন যুব লিগ। সোমবার কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে আয়োজিত যুব লিগের জেলা কনভেনশন উপলক্ষে প্রতিনিধিদের মধ্যে বিলি করা রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদনে ওই মন্তব্য করা হয়। প্রতিবেদনে জেলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যের সঙ্গে জেলার রাজনীতিতেও বিরাট পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। জেলার প্রভাবশালী কমরেডদের দ্বারা পরিচালিত দল জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’ বাম শরিক দলের যুব সংগঠনের এমন মূল্যায়নে চটেছেন সিমিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের জেলা নেতৃত্ব। আর তা নিয়েই ফের শরিকি কাজিয়া প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। যুব লিগ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সোমবার ওই জেলা কনভেনশন ডাকা হয়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জেলার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ২৬ দফা আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। পাশাপাশি কনভেনশনে প্রতিনিধিরা গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ নিয়েও আলোচনা করেন। তাদের একাংশের বক্তব্যেও বড় শরিকের প্রভাবশালী নেতাদের কয়েকজনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যুব লিগের জেলা সম্পাদক গোপাল দে বলেন, “বড় শরিকের ত্রুটি না-থাকলে কিংবা ওঁদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ যুবকদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারলে বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় সিপিএমের তো বটেই, বামেদের সার্বিক ফল ভাল হত। সেজন্য প্রতিবেদনে ওই মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে। এসব নিয়ে অনেকে খোলাখুলি আলোচনাও করেছেন। এতে রাখঢাকের ব্যাপার নেই।” শরিক দলের যুব সংগঠনের ওই মূল্যায়ন অবশ্য মানতে নারাজ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক মহানন্দ সাহা বলেন, “সার্বিক ফলাফল আমরাও পর্যালোচনা করেছি। কোনও একটি দল বা সংগঠনের জন্য খারাপ ফল হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। বামফ্রন্টের প্ল্যাটফর্মে যারা আছেন ভালমন্দ সবকিছুর দায়ই কেউ এড়াতে পারেন না। ফলে যুব লিগের কী মনে হচ্ছে সেটা তাঁদের ব্যাপার।” প্রসঙ্গত, এবার বিধানসভা ভোটে জেলার বাকি ৫ টি আসনে লড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকই জয়ী হয়। যুব লিগের ওই প্রতিবেদনে রাজ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বর্তমান সরকারেরও সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ৩৪ বসরের বামফ্রন্ট সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ হত্যাকারী শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকার নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণে ব্যর্থই বলা চলে। কনভেনশনে বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর, পরেশ অধিকারী, যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|