গামী মে মাসে হতে চলা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার বহু খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আগের দিন। যেমন, এ বারের পরীক্ষায় নম্বরের হিসেবে কী বদল আসতে চলেছে, কারা বসতে পারবে ইত্যাদি। এ বার সাফল্য ছোঁওয়ার জন্য শুধু দরকার ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে এগোনো, ছক কষে পড়াশোনা, পরিশ্রম ও ধৈর্য।

প্রশ্নপত্রের ধরন
আমূল পরিবর্তন এসেছে এ বারের পরীক্ষার মোট ১৫০ নম্বরের বিন্যাসে।
প্রথম ভাগটি প্রার্থীর বিষয়ভিত্তিক। বরাদ্দ ৬০ নম্বর।
দ্বিতীয় ভাগটি নতুন সংযোজিত। এবং পরীক্ষার আদল বদলে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ৯০ নম্বরের এই ভাগে থাকছে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি, প্রথম ভাষা এবং দ্বিতীয় ভাষা। প্রত্যেকটির জন্য নির্দিষ্ট ৩০ নম্বর। প্রথম ভাষা বলতে বোঝাবে সেটিই, পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে পরীক্ষার্থী যেটি বেছে নেবেন। আর দ্বিতীয় ভাষা হল, পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক স্তরে যেটি পড়ে এসেছেন। নমুনা হিসেবে ধরা যাক, প্রার্থী ইতিহাস নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং তিনি বাংলা মাধ্যমে উত্তর দিতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে প্রথম ভাষা হবে বাংলা এবং দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি।
এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, প্রার্থী যদি দ্বিতীয় ভাগের এই ৯০ নম্বরের মধ্যে ৬০% অর্থাৎ ৫৪ নম্বর পায়, একমাত্র তা হলেই তাঁর প্রথম ভাগ অর্থাৎ বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার উত্তর পত্র দেখা হবে, নতুবা নয়। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ভাগটি পুরোপুরি অবজেকটিভ ধরনের প্রশ্নভিত্তিক।
যদিও সহ-শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্যানেল তৈরির সময়ে দ্বিতীয় ভাগের ওই ৯০ নম্বর কিন্তু যুক্ত হবে না। শুধুমাত্র প্রথম ভাগের নম্বর, প্রার্থীর মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক/স্নাতক/স্নাতকোত্তর/বি এড (অ্যাকাডেমিক স্কোর) পরীক্ষার নম্বর ও অভিজ্ঞতার (যদি থাকে) ভিত্তিতেই প্যানেল প্রস্তুত করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
পরীক্ষার বিস্তর অদলবদল হওয়ায় প্রার্থীরা একটু দিশেহারা। কারণ হাতে আর চার মাস। এর মধ্যেই ১৫০ নম্বরের প্রস্তুতি সারতে হবে। যার মধ্যে ৯০ নম্বরের বিষয়টি অনেকের কাছেই অপরিচিত। আবার ওই পত্রে ৬০ শতাংশ নম্বর না পেলে কিন্তু স্কুল শিক্ষকতার স্বপ্ন সফল হওয়া দূর অস্ৎ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য এজ’-এর কর্ণধার সুকর্ণকান্তি করাতি জানিয়েছেন, শিশু মনস্তত্ত্ব ও শিশুশিক্ষা বিষয়টি রপ্ত করতে বি এড-এর বইগুলো খুব সাহায্য করবে। আর, নিজস্ব বিষয়ের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষিপ্ত হওয়া প্রয়োজন। ৫০ শব্দের মধ্যে উত্তর করলেই ভাল। তাই সময় ধরে অনুশীলন করা খুব জরুরি।
অন্য দিকে, জর্জ স্কুল অফ কম্পিটেটিভ এগজামিনেশন-এর অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, প্রার্থী তাঁর প্রধান বিষয়টিতে ইতিমধ্যেই অনেকটা তৈরি। কিন্তু দ্বিতীয় ভাগের ৯০ নম্বরের বিষয়টি সম্পর্কে (বিশেষ করে শিশুশিক্ষা ও শিশু মনস্তত্ত্ব) কিন্তু ঠিক মতো জানেন না। অথচ এই ভাগে ৬০% নম্বর না পেলে প্রথম ভাগের খাতা-ই দেখা হবে না। তাই রুটিন করে নিয়মিত পড়াশোনা করা এবং আসল পরীক্ষার মতো প্রশ্নপত্র তৈরি করে উত্তর দেওয়ার অভ্যাস, যাকে বলে ‘মকটেস্ট’ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একই মতের শরিক ফ্রন্টলাইন ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটেটিভ এগজামিনেশনের কর্ণধার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, এ বারের স্কুল সার্ভিসের সহ-শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াবে ওই শিশুশিক্ষা ও ভাষা বিষয়ের পরীক্ষাটিই। কারণ, ৯০ মিনিটে ৯০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া চার মাসে রপ্ত করা নেহাতই সহজ নয়। এক দিকে শিশুশিক্ষা ও শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়টি পরীক্ষার্থীদের কাছে নতুন, অন্য দিকে দু’টি ভাষাতেই ৬০ নম্বরের উত্তর দেওয়াও খুব সহজ নয়। নিয়মিত ভাবে শিশুশিক্ষা ও শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে বিশদ পড়াশোনা ও ঘড়ি ধরে উত্তর অভ্যাস করতে হবে প্রার্থীকে। ভাস্করবাবুর মতে, বয়সসীমা শিথিল হওয়ার দরুন প্রতিযোগিতাও এ বার তীব্র হবে।
তাঁর পরামর্শ, পরীক্ষার্থীর উচিত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে শিশুশিক্ষা এবং শিশু মনস্তত্ত্ব, দু’টি ভাষার পাঠ্যক্রম খুঁটিয়ে দেখা। ওয়েবসাইটে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি-র নমুনা প্রশ্নও আছে।

খেয়াল রাখুন

সোনার মূল্যায়নে প্রশিক্ষণ
হায়দরাবাদের ‘মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ (এমএসএমই-ডিআই) সোনার মূল্যায়ন (গোল্ড অ্যাপ্রেইজাল) নিয়ে একটি স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। চলবে ২৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। নিয়মিত এই ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই প্রতিষ্ঠান। এমএসএমই-ডিআই কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয় হিসেবে থাকবে, খাঁটি সোনা ও গয়নার সোনার মূল্য বিচারের পদ্ধতি, সোনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া, সোনা-ঋণ গ্রহণ এবং হলমার্ক ব্যবস্থা ইত্যাদি। সোনা সংক্রান্ত যে কোনও কাজে বা ব্যবসায় নিযুক্ত বা আগ্রহী যে কেউ অংশ নিতে পারেন। সোনা-ঋণ বিষয়ক ব্যবসা বা কাজে নিযুক্ত হতে চাইলেও প্রশিক্ষণটি নেওয়া যায়। বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর। অন্য রাজ্য থেকে কেউ আসতে চাইলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। ফোন: ০৯৮৬৬০১৮৭৭৬।

কলেজ শিক্ষকতার জন্য
স্নাতকোত্তর স্তরে ৫৫% নম্বর থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে কলকাতার অ্যাকাডেমিক্স-এর নেট-সেট প্রস্তুতি পাঠ্যক্রমে। ২১ জানুয়ারির মধ্যেই ভর্তি হতে হবে। ফোন: ২৩২১-৯৩৯৪।

কর্মসংস্থান মেলা
আগামী শনিবার কলকাতায় কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউ অফ জব ট্রেনিং। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন সংস্থা তাদের সেল্স, অ্যাকাউন্টস, ফিনান্স, কাস্টমার রিলেশন্সের মতো বেশ কিছু পদে নিয়োগ করবে এখানে এসে। এলগিন রোড, যশোর রোডের ডাক বাংলো প্লাজা, দক্ষিণ সিঁথি ও চৌরঙ্গি রোডে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের চারটি কেন্দ্রেই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। এটিতে অংশ নেওয়া যাবে বিনামূল্যে। ফোন: ৯৮৩৬৪১১০০২, ৯৮৩৬৮৬১২৬০।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.