|
|
|
|
কনকনে কুয়াশায় কাঁপছে উত্তর |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বেলা ১১টা পর্যন্ত চরাচর ঢেকে থাকছে কুয়াশায়। দুপুরে রোদের দেখা নেই। আবার বেলা ৩টে বাজার পরেই ঘন হয়ে আসছে কুয়াশা। তার সঙ্গে চলছে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। উত্তর ভারতের শৈত্য প্রবাহ হানা দিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের প্রধান সুবীর সরকার জানিয়েছেন, তারমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ ধরে নেওয়া হয়। রবিবার দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের তাপমাত্রা দশ ডিগ্রির নিচেই ছিল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি। জলপাইগুড়িতে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিঙের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। পৌষ সংক্রান্তির সময়ে তাপমাত্রা সর্বত্রই অনেকটা নেমে যায়। তার পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলার ক্ষেত্রে উদ্বেগের বিষয় হল, ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশে ঘমীভূত হচ্ছে। ফলে এই পরিস্থিতি থেকে এখনই রেহাই মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের প্রধান সুবীর সরকার বলেন, “উত্তর ভারতের শৈত্য প্রবাহের রেশই চলছে আমাদের এখানে। দিন দুয়েকের মধ্যেই একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশে সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এমন ঠাণ্ডা আরও কয়েকদিন চলবে।”
মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে এদিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে। তাতে উত্তরবঙ্গের ওই তিন জেলার বাসিন্দারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও ভুগিয়েছে কুয়াশা। সর্বত্র কুয়াশার জন্য যান চলাচলে সমস্যা হয়েছে। জাতীয় সড়কের ধারে লোকজনকে দেখা গিয়েছে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিলিগুড়িতে রাস্তায় যে পরিমাণ লোকজন দেখা যায়, এদিন তার চেয়েও কম লোক রাস্তায় বার হয়েছেন। যাঁরা বার হয়েছেন, ভর দুপুরেও তাঁদের অনেককেই দেখা গিয়েছে মাথায় টুপি পরে ঘুরে বেড়াতে। সোয়েটারের উপরে জ্যাকেট চড়িয়েছেন অনেকে। একই চিত্র দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়িতেও। কোচবিহারে এদিন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনভর কুয়াশা ছিল। দুপুরে রোদের মুখই দেখতে পাননি বাসিন্দারা।
গাঢ় কুয়াশা ও প্রবল ঠান্ডায় দার্জিলিং শহর এ দিন কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল। দুপুর ২টার পরে রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের গ্যাংন্টক শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দার্জিলিঙের তাপমাত্রা ছিল ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্যাংন্টক, কালিম্পঙে তাপমাত্রার ছিল যথাক্রমে ৩.২ ও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের গ্যাংন্টকের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তুরে হাওয়াই ঠাণ্ডা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না-কাটা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই।” |
|
|
|
|
|