দুধ পুষ্টিকর, প্রচলিত ধারণা এটাই। কিন্তু দেশের খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি) কর্তৃপক্ষের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত নমুনার ৬৯ শতাংশই বিশুদ্ধ নয়।
সংগৃহীত দুধের মধ্যে ১৪ শতাংশ নমুনায় ডিটারজেন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এই নমুনাগুলি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ছ’টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন ও দিউ থেকে সংগৃহীত কোনও নমুনাই বিশুদ্ধ নয়। গোয়া ও পুদুচেরির সব নমুনাই বিশুদ্ধ বলে রায় দিয়েছে গুণাগুণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দুধে ভেজাল দেওয়ার সব পদ্ধতির মধ্যে জল মেশানোই এখনও সব চেয়ে বেশি ‘জনপ্রিয়’।
জল থেকে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তবে দুধ ফুটিয়ে খেলে সেই আশঙ্কা দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিশেষজ্ঞেরা। সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, চাহিদা মেটাতে গুঁড়ো দুধে কৃত্রিম দুধ, গ্লুকোজ এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ মেশানো হয়। ৪৪.৬৯ শতাংশ নমুনায় মিল্ক পাউডারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ৩৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ১,৭৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সমীক্ষার ফলে জানাগিয়েছে, সেগুলির মধ্যে ১,২২৬টি নমুনাই বিশুদ্ধতার পরীক্ষায় পাশ করেনি। খাস রাজধানী দিল্লি থেকে সংগৃহীত ৭০ শতাংশ নমুনায় রয়েছে ভেজাল। এমনকী, বাদ নেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। সেখান থেকে নেওয়া নমুনার মধ্যে ৬ শতাংশ বিশুদ্ধ নয় বলে জানা গিয়েছে। |
সম্প্রতি রিষড়া নেতাজি জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে নিখরচায় চক্ষু পরীক্ষা ও ছানি শনাক্তকরণ শিবির আয়োজিত হয়। রিষড়া বাঙ্গুর পার্ক বন্দনা আশ্রমে ওই শিবির হয়। |