আগেই নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নার্সিংহোম বন্ধ রাখার। তা সত্ত্বেও দিব্যি রোগী দেখা চলছিল। ভর্তি করাও হচ্ছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে এ বার নার্সিংহোমটি ‘সিল’ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর। গ্রেফতার হলেন নার্সিংহোমের মালিক। ঘটনার জেরে শনিবার চাঞ্চল্য ছড়ায় খড়্গপুর শহরের ইন্দায়। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম চালানোর জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে তথাগত ঘোষ নামে এক জনকে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলার সব নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেই নিয়ম মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরিদর্শনে গরমিল ধরা পড়াতেই কয়েকটি কয়েকটি নার্সিংহোম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইন্দার সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমটির লাইসেন্সও বাতিল করা হয়। তার পরেও নার্সিংহোমটি চলছিল। অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম চালানোর জন্যই গ্রেফতার। যা খড়্গপুরে এই প্রথম। এর পরেই নড়াচড়া পড়ে গিয়েছে শহরের অন্য নার্সিংহোমগুলির কর্তৃপক্ষের মধ্যে।
পুলিশ সূত্রে খবর, খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরির কাছে ইন্দার নাসিংহোমটি নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগে জানানো হয়েছিল, লাইসেন্স জেলা স্বাস্থ্য দফতর বাতিল করা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য-ব্যবসা চলছে। রোগীরা আসছেন। সামনের দরজা বন্ধ। পিছনের দরজা দিয়ে রোগীদের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার সকালে নিজেই ইন্দার ওই নার্সিংহোমে যান মহকুমাশাসক। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল। নার্সিংহোম ঘুরে দু’জনেরই মনে হয়েছে, অভিযোগ ঠিক। কর্তৃপক্ষ রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না দাবি করলেও তাঁরা দেখেন, রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেকে চিকিৎসা করাতেও এসেছেন। এর পরেই ডেকে পাঠানো হয় খড়্গপুর টাউন থানার আইসি স্বপন দত্তকে। নার্সিংহোমের মালিক তথাগতবাবুকে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় আইসি-কে। মহকুমাশাসক বলেন, “অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম চলছিল। এমন অভিযোগ এলে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।” অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “গত মাসেই নার্সিংহোমটির লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু, তাও রোগী দেখা চলছিল। এ দিন ‘সিল’ করে দেওয়া হল নার্সিংহোম।” |