|
|
|
|
কবিতা-কাণ্ডে ভাসুরকে ধরার দাবি বাসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
গ্রামের গৃহবধূ কবিতা দেবনাথের নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুভাষ দেবনাথকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন শামুকতলার ছোট চৌকিরবস গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, কবিতা দেবীকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার চক্রান্ত চলছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। সুভাষ দেবনাথকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” গত মঙ্গলবার রাতে গাছের কয়েকটি সুপারি পারার জন্য কবিতা দেবীকে হাত বেঁধে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর, জা-সহ ৫ জন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। মারধরের পরে কবিতা দেবীর শরীরের বিচুটি পাতা ঘষে জল ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে শামুকতলা থানার ওসি প্রবীণ প্রধান পুলিশ নিয়ে গিয়ে কবিতা দেবীকে উদ্ধার করে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। একজন পালিয়ে গেলেও শ্বশুর, শাশুড়ি, জা ও ভাসুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভ জানান আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চ, স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সিপিএম নেতৃত্ব। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরেও কবিতা দেবীকে চিকিৎসা না করিয়ে রেফার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শৌভিক দাসের বিরুদ্ধে। খবর পৌঁছয় জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্রের কাছে। তাঁর নির্দেশেই মহকুমা প্রশাসন কবিতা দেবীকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “ওই মহিলার উপর অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে। পুলিশ এখনও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযুক্ত চিকিৎসকেরও শাস্তির দাবি করছি আমরা।” অভিযুক্ত চিকিৎসক শৌভিকবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “সেই সময় জখম মহিলার যা পরিস্থিতি ছিল তাতে রেফার করা ছাড়া আমার কোনও উপায় ছিল না।” ছোট চৌকিরবস গ্রামের রণজিৎ দেবনাথ, অজিত দেবনাথ, পরিতোষ বিশ্বাস দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। |
|
|
|
|
|