|
|
|
|
অপহরণকারী দল বিহারের, বলছে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অপহরণের পর উত্তর দিনাজপুর সংলগ্ন বিহারের কোথাও বিজয় কিল্লাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। কাটিহার ও কিসানগঞ্জের দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলেও পুলিশের ধারণা। বিহারের ওই দুই জেলার পুলিশ সুপারকে অপহৃত ব্যবসায়ীর ছবি সহ সমস্তরকম তথ্য ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে দার্জিলিং পুলিশ। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যৌথভাবে ব্যবসায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রোলিং মিলের মালিক খালপাড়ার বাসিন্দা বিজয়বাবু গাড়ি নিয়ে শালুগাড়া থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ভক্তিনগর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইসলামপুরের বিহার সীমান্ত থেকে পুলিশ অপহৃতের গাড়ি উদ্ধার করলেও রবিবার পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ বের করতে পারতে পারেনি পুলিশ। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “ওই ব্যবসায়ীর খোঁজে তল্লাশি চলছে। সমস্ত দিক আমরা খতিয়ে দেখছি।” জলপাইগুড়ির এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ যৌথভাবে ওই ব্যবসায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। বিহার সংলগ্ন ভাঙাপুলের যে জায়গায় অপহৃতের গাড়ি পাওয়া গিয়েছে সেখানেও কয়েক দফায় পুলিশ কর্তারা গিয়েছেন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “আমরা কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি সেই সূত্রেই তদন্ত করা হচ্ছে। সংলগ্ন বিহারের দুই জেলার পুলিশ সুপারকে ওই ব্যবসায়ীর ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিহারের পুলিশের তরফেও খোঁজ চালানো হচ্ছে। শীঘ্রই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” পুলিশ কর্তাদের ধারণা ছিল, অপহরনের পর দুষ্কৃতীরা মুক্তিপণ চেয়ে বিজয় কিল্লার বাড়িতে একটি ফোন করবে। কিন্তু ঘটনার পরে পাঁচদিন কেটে গেলেও অপহরণকারীদের তরফে মুক্তিপন চেয়ে কোনও ফোন যায়নি। তাহলে ঠিক কী কারণে ওই অপহরণ হতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ। এর পেছনে অন্য কিছু কারণ রয়েছে কী না সেদিকগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অপহৃতের দাদা প্রদীপবাবু বলেন, “আমাদের কাছে কোনও ফোন আসেনি। আমরা ঘটনার পর থেকে এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিজয়বাবু তিনটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে সেই তিনটি মোবাইল ফোনের ‘সুইচ অফ’ রয়েছে। ওই তিনটি ফোনের বর্তমান পরিস্থিতি কী রয়েছে তা বের করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ তিনটি ফোনের কল লিস্ট বের করেছে। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার আগে কার কার সঙ্গে বিজয়বাবুর কথা হয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের একটি মহল জানিয়েছে। তা থেকেই ব্যবসায়ীকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পরে পুলিশের ধারণা দৃঢ় হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই অপহরণের পিছনে যারাই থাক তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বিজয়বাবুকে অনুরসরণ করছিলেন। তিনি রাতে কখন বাড়িতে ফেরেন বা কোথায় কোথায় যান সে সব জানার পরই তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়। |
|
|
|
|
|