একের পর এক চুরি-ডাকাতি হয়ে চলেছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। এখনও কোনও ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ বাসিন্দারা। লুঠপাটের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত।
মঙ্গলবার রাতে নোয়াপাড়ায় বিদ্যুৎ কর্মী অমূল্য মৃধার বাড়িতে ঢুকে লুঠপাটের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বুধবার রাতে জগদ্দলে নৈশপ্রহরী পরিচয় দিয়ে ঢুকে পর পর দু’টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাতেও দুষ্কৃতীরা অধরাই রয়ে গিয়েছে।
শুক্রবারও বীজপুর থানার চারটি দোকানে চুরি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা স্থানীয়। কিন্তু এখনও কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ।
কেন ধরা যাচ্ছে না দুষ্কৃতীদের?
পুলিশের অভিজ্ঞ তদন্তকারীদের অভিমত, শীঘ্রই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ থেকে কমিশনারেট-এর আওতায় চলে যাচ্ছে। এই মধ্যবর্তী সময়ে পুলিশি নজরদারিতে খানিকটা ঢিলেঢালা হয়েছে। তার উপর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ আধিকারিকদের অধিকাংশই সাগরমেলায় বিশেষ ‘ডিউটি’তে যাওয়ায় দশটি থানার নজরদারিতেও শিথিলতা এসেছে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশ কর্তাদের একাংশ। শিল্পাঞ্চলের থানাগুলোর পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, গাড়ি ও কর্মীর অভাবও এই মুহূর্তে দুষ্কর্মমূলক কাজকর্ম রোখার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা দিয়েছে। শিল্পাঞ্চলে জনসংখ্যা এবং ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা অপরাধ রুখতে থানাগুলির পরিকাঠামো উন্নত করা উচিত বলে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার দরবার করেছেন বিভিন্ন থানার আইসি’রা। কিন্তু এখনও সেই সংক্রান্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্যের দাবি, “পুলিশ তার কাজ ঠিকই করছে। আমরা আগেও শিল্পাঞ্চলে বহু অপরাধের কিনারা করেছি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিরও কিনারা হবে।” অবশ্য তিনি এ-ও স্বীকার করেছেন, থানাগুলির পুলিশকর্মীদের কর্মতৎপরতা বাড়াতে হবে। |